ফের এক নাবালক অটো চালককে আটক করল পরিবহণ দফতর। দফতরের আধিকারিকেরা সোমবার মেদিনীপুর শহরে নজরদারি চালাতে নেমে দেখেন, ওই নাবালক অটো চালাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বছর সতেরোর ওই কিশোরকে আটক করা হয়। আরটিও অফিসে এনে তাকে সতর্কও করা হয়। ওই কিশোর আশ্বাস দেয়, সে আর অটো চালাবে না। তারপরই তাকে ছাড়া হয়। আরটিও অফিস সূত্রে খবর, অটোর মালিককেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন তিনি অটো এক নাবালকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তা জানতে চাওয়া হবে। জরিমানাও করা হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও শহরে নাবালক অটো চালক, টোটো চালককে আটক করা হয়েছে। এ দিনের ঘটনার কথা মেনে জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “কোনও নাবালক অটো চালাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “এই ধরনের ঘটনা এড়াতে এ বার আরও জোরদার তল্লাশি-অভিযান হবে।”
মেদিনীপুর শহর এবং শহর লাগায়ো এলাকায় আগে প্রায় ৩০০টি অটো চলত। বছর খানেক আগে নতুন করে আরও প্রায় ২০০টি অটো নামে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে জেলায় প্রায় ৮২৫টি অটোর রুট পারমিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে মেদিনীপুরে (সদর) প্রায় ৫০০টি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টোটোর সংখ্যা। মেদিনীপুরে প্রায় ৩০০টি টোটোর অফার-লেটার দেওয়া হয়। এর মধ্যে পারমিট নেয় প্রায় ২০০টি টোটো। অথচ, এখন শহরে টোটো চলছে প্রায় ৬০০টি।
এই সব অটো-টোটোর বেশিরভাগই বেপোরোয়া ভাবে চলাচল করে। ঘটে দুর্ঘটনা। চালক নাবালক হলে আরও বেশি ঝুঁকি থেকে যায়। তার উপর মেদিনীপুরের মতো শহরে এখন যে সব টোটো নেমেছে তার নির্দিষ্ট রুট নেই। যত দিন যাচ্ছে, সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্তের আশ্বাস, “মেদিনীপুরে অবৈধ টোটো থাকতে পারে। অটোও থাকতে পারে। এ বার অবৈধ এই সব গাড়ির বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান হবে। গাড়ির প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র রয়েছে কি না দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy