ঘাটালের গোঁসাই পুকুরের জলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। (ইনসেটে) শহরের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠেও জমে আবর্জনা। — কৌশিক সাঁতরা।
বিসর্জনের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও সাফাই হয়নি আবর্জনা। ঘাটালের একাধিক পুকুর থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। হুঁশ নেই কারও। পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের দাবি, “যত্রতত্র পড়ে থাকা জঞ্জাল সাফ করে দেওয়া হয়েছে। নদীর ঘাট থেকে সরানো হয়েছে প্রতিমার কাঠামোও। এখনও পরিষ্কারের কাজ চলছে। যদি কোথাও কিছু পড়ে থাকে দ্রুত তা সরিয়ে নেওয়া হবে।”
মিশন নির্মল বাংলা গড়তে প্রচার চলছে জোরকদমে। এলাকা পরিষ্কার লাগানো হয়েছে ব্যানারও। যদিও এখনও ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর, আলমগঞ্জ, কৃষ্ণনগর, কুশপাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারেই স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে থার্মোকল, চট-সহ মণ্ডপ তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর ক’দিন বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনা জমেছে। যদিও তা সাফাই করতে ততটা তৎপরতা চোখে পড়েনি।
ঘাটাল শহরের বেশিরভাগ প্রতিমা শিলাবতী নদীতেই বিসর্জন হয়েছে। মোট সাতটি নদীর ঘাট প্রতিমা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল পুরসভা। নদীর ঘাট ছাড়াও শহরের কুলপুকুর, মাইতি পুকুর-সহ বিভিন্ন পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে শিলাবতী নদী থেকে প্রতিমার কাঠমো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও শহরের বিভিন্ন পুকুরের জলে প্রতিমার কাঠামো, ফুল এখনও সাফাই হয়নি বলে অভিযোগ। ঘাটাল শহরের কুশপাতার বাসিন্দা গৃহবধূ নমিতা সরকার, পূজা হালদারদের অভিযোগ, “পুকুরের জলে জঞ্জাল ভাসছে। পুকুরের জলই ভরসা। আবর্জনা সরিয়েই জল ব্যবহার করছি।”
পুজো উপলক্ষে রাস্তার ধারে বিভিন্ন খাবারের স্টলও বসেছিল। ওই সব স্টলের ফেলে যাওয়া আবর্জনায় নিকাশি নালা অবরুদ্ধ বলে অভিযোগ শহরের বাসিন্দাদের একাংশের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘাটাল শহরে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই হয় না। পুজোর পর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “অন্য বছর পুজো কমিটির সদস্যরাই পুকুর থেকে কাঠামো তুলে নিতেন। আবর্জনা তুলে আমাদের খবরও দিতেন। পুরসভার সাফাইকর্মীরা গিয়ে পরিষ্কার করে নিত। এ বার কেউ ফোনও করেনি। দু’একদিনের মধ্যেই সব আবর্জনা পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy