দেশে ফিরতে পারেন ভারতীয় গবেষক, রবিবারই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে নিরাপদ জায়গায়

ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের তেল আভিভে আটকে আছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির যুবক অনিরুদ্ধ বেরা। তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করার সূত্রেই ইজ়রায়েলে থাকেন তিনি। তবে আগামী সপ্তাহেই তিনি ইজ়রায়েল থেকে নিজের দেশে ফিরবেন।

অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, দেশে ফেরার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি নাম লিখিয়েছেন অপারেশন সিন্ধুর নির্দিষ্ট রেজ়িস্ট্রারে। তিনি বলেন, ‘‘বাবা-মা জানতে চেয়েছিলেন কবে ফিরব, তাঁদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি খুব শীঘ্রই দেশে ফিরব, আশা করছি সামনের সপ্তাহে দেশে ফেরার ব্যবস্থা হবে।’’ জানা গিয়েছে, সম্ভবত রবিবার সকালেই তেল আভিভের আবাসন থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্যদেরও নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে।

অন্য দিকে, শালবনিতে অনিরুদ্ধের বাবা অসীম ও মা রাখি চিন্তায় রয়েছেন ছেলের জন্য। তাঁদের সঙ্গে প্রতি দিনই বেশ কয়েক বার করে ছেলের কথা হচ্ছে। পারিবারিক সূত্রে খবর, প্রতি নিয়ত পরিস্থিতি সম্পর্কে বাবা-মাকে জানাচ্ছেন অনিরুদ্ধ। জানা গিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজলেই ঢুকে পড়তে হচ্ছে বাঙ্কারে। মূলত শুকনো খাবারই ভরসা।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের ভাউদি গ্রামের বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধ ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা বধূ। একমাত্র ছেলের বাড়ি ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাবা, মা-সহ পরিবারের সকলে।

ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। চলছে মুহুর্মুহু ঘাত-প্রত্যাঘাত। নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরানোর জন্য অপারেশন সিন্ধু চালু করেছে ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম নথিভুক্ত করেছেন অনিরুদ্ধও। এর আগে ইরানে অপারেশন সিন্ধু সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারত সরকার। গত শনি বার রাতে মোট তিনটি বিমানে ইরান থেকে নিরাপদে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়া। শনিবারে প্রথম আসা বিমানে ২৯০ জন ফিরেছলেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ জনই অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। তার আগে বৃহস্পতিবার ১১০ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছিলেন। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিন্ধু অভিযানে মোট এক হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হবে।