Advertisement
E-Paper

জিএসটি নিয়ে আলোচনায় শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা

সারা দেশে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর। কিন্তু এই কর কী ভাবে দিতে হবে বা করের আওতায় আসতে কী করতে হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শিল্প সংস্থাগুলিও নতুন এই কর-পদ্ধতিতে কাঁচামাল কেনা থেকে পণ্য উৎপাদনের শুল্ক প্রদান নিয়ে দিশেহারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০৩
খড়্গপুরে আলোচনাসভার একটি মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।

খড়্গপুরে আলোচনাসভার একটি মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।

সারা দেশে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর। কিন্তু এই কর কী ভাবে দিতে হবে বা করের আওতায় আসতে কী করতে হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শিল্প সংস্থাগুলিও নতুন এই কর-পদ্ধতিতে কাঁচামাল কেনা থেকে পণ্য উৎপাদনের শুল্ক প্রদান নিয়ে দিশেহারা। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সোমবার খড়্গপুরের ইন্দায় কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের কার্যালয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হল।

এ দিন জেলার ছোট-মাঝারি থেকে বড় শিল্প কারখানার প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি আলোচনায় যোগ দেন। কী পদ্ধতিতে এই ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স’ (জিএসটি) দিতে হবে তার প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। এই করের আওতায় আসতে নাম নথিভুক্তির সময় থেকে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেই পরামর্শ দেওয়া হয় শিল্পসংস্থাগুলিকে। প্রতিনিধি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আনন্দকুমার মণ্ডল ও সুপার অঙ্কুশ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ডিভিশনের ইন্সপেক্টর প্রবীর রক্ষিত।

এত দিন কারখানা শুল্ক, পরিষেবা কর, অ্যাডিশনাল টেক্সটাইল-সহ ৮ রকম শুল্ক আদায় করত কেন্দ্রীয় সরকার। আর ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স, সেলস ট্যাক্স-সহ ৯ ধরনের শুল্ক আদায় করত রাজ্য সরকার। এর জেরে বিভিন্ন রাজ্যে জিনিসপত্র দামে হেরফের হত। জিএসটি চালু হলে সেই ফারাক ঘুচবে বলেই আশা।

ফর্ম পূরণ, কর প্রদান থেকে রিটার্ন সব কিছু অনলাইনে জমা করতে হবে বলে শিল্পসংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনও ভুল বা কারচুপি করলে সহজে ধরা পড়ে যেতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। শুল্ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আনন্দবাবু বলেন, “জিএসটি-র সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হওয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। প্রথম থেকে ভুল বা কারচুপি করলে পরে রিটার্ন দিতে গেলে বিপদ বাড়বে। রিটার্নের সময়ে বিক্রেতা সংস্থার ভুলের সংশোধন না হলে ক্রেতা সংস্থা ক্রেডিট পাবে না। এই সব আমরা শিল্প সংস্থাগুলিকে জানিয়ে দিলাম।” আলোচনায় যোগ দিয়ে উপকৃত শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরাও। খড়্গপুরের টাটা মেটালিক্সের শুল্ক বিভাগের আধিকারিক সমীর দে বলেন, “পণ্য পরিষেবা কর অনেক বেশি সরল হবে। আমরাও সহজে জানতে পারব যে কাঁচামাল শুল্ক প্রদান করে কিনে এনেছি তার টাকা জমা পড়েছে কি না।”

Kharagpur GST Bill Industrial Organization
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy