E-Paper

শুভেন্দুর জেলায় অন্তর্দ্বন্দ্বে ইন্ধন, বিতর্কে দিলীপ

ভোট পরবর্তী সময়ে তাঁদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি মেদিনীপুরে ফের নিজের অস্তিত্ব টের পাওয়ানো এবং হারানো জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আনন্দ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৭
বুধবার দিঘার সৈকতে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

বুধবার দিঘার সৈকতে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

তাঁর নিজের খাস এলাকা মেদিনীপুর থেকে এ বার তাঁকে লোকসভা ভোটে লড়তে দেওয়া হয়নি। অপরিচিত দুর্গাপুর আসনে লড়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর পায়ের তলার জমি খানিক নরম হতেই দুই মেদিনীপুরে তাঁর অনুগামীরাও অনেকটা গুটিয়ে গিয়েছিলেন।

ভোট পরবর্তী সময়ে তাঁদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি মেদিনীপুরে ফের নিজের অস্তিত্ব টের পাওয়ানো এবং হারানো জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে আবার প্রকট হয়েছে জেলার বিজেপির দুই গোষ্ঠীর টানাপড়েন।

বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের সমীকরণ বরাবরই আলোচনায় থেকেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে দিলীপ কিন্তু তাঁর ভোট পরবর্তী কার্যক্রমের তালিকায় প্রথমেই রেখেছেন অধিকারীদের খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলায় বিজেপির বিপুল জয়ের পর শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামী বিজেপি নেতাদের দাপট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া নিজের অনুগামীদের মনোবল বাড়াতেই নিজের কর্মসূচির জন্য এই জায়গাকে বেছে
নিয়েছেন দিলীপ।

গত মঙ্গলবার তিনি এগরা এলাকায় নিজের অনুগামী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হয়েছিলেন। আর বুধবার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বুড়ারি বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি অতিথিশালায় নিজের অনুগামী বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দিলীপ বৈঠক করেছেন। প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠকের পর এ দিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তিনি বেরিয়ে যান। উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ দলের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের কেউ ডাক পাননি বলে অভিযোগ।

বুধবারের বৈঠকে ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ মাইতি, প্রাক্তন জেলা সাধারন সম্পাদিকা তথা বর্তমানে দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সম্পাদিকা শুভ্রা দাস সহ বিভিন্ন মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি সহ পদাধিকারী
নেতা-কর্মীরা।

পরে নারায়ণ মাইতি বলেন, ‘‘দিলীপদা জেলায় এসেছিলেন। দিঘা থেকে যাওয়ার পথে আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের অনেক পুরনো নেতা-কর্মী যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে উনি দেখা করেছেন ও সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেছেন। কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’’

জেলায় দিলীপ ঘোষ এলেও তাঁদের ডাকা হয়নি এবং জানানো হয়নি বলে দাবি করেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিজেপি নেতা ও দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বামদেব গুছাইত। তাঁর কথায়, ‘‘দিলীপদা আমাদের জেলায় এসেছিলেন বলে জেনেছি। দিঘার দিক থেকে ফেরার পথে আমাদের দলের কিছু নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে দলের একজন নেতা হিসেবেই সাংগঠনিকভাবে দলের জেলা সভাপতিকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু জানাননি। আমরা বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dilip Ghosh Suvendu Adhikari Tamluk BJP Internal Conflict

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy