শুধু পাড়ার দেওয়াল নয়, ফেসবুকের দেওয়ালেও চলছে জমজমাট পুরভোটের প্রচার। ভোট দেওয়ার আহ্বানের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনীতির আলোচনা। দেওয়া হচ্ছে প্রতিরোধের বার্তাও।
তৃণমূল-শিবির লিখছে, ‘হাতে নয়, কাস্তেতে নয়, ভোট নয় পদ্মফুলে/মা-বোনেরা জোট বেঁধেছে, সব ভোট তৃণমূলে’। বাম-শিবিরের পাল্টা, ‘মারবে মারো, লড়াই তবু চলবে/রক্ত ঝরুক, পাল্টা আগুন জ্বলবে’। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। গেরুয়া-শিবিরের লোকজন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে লিখছেন, ‘মা নিয়েছেন মাটি, মানুষ মরে ভূত/ভাইয়েরা সব কোটিপতি, রানির রাজ্যে লুঠ’।
একটা সময় ছিল যখন ছড়া-ছবি-কার্টুনে দেওয়াল প্রচার জমে যেত। দিন বদলেছে। বদলেছে প্রচার কৌশল। নতুন প্রজন্মের চোখ এখন আটকে থাকে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় ই-প্রচার যে অপরিহার্য তা মানছে সব দলই। এতদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র-যুবরাই প্রধানত ‘ই-প্রচার’ চালাতেন। এখন প্রবীণ নেতারাও ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলছেন। মাস কয়েক আগেই ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য তথা রেলশহরের বিদায়ী পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে। রবিবাবু বলছিলেন, ‘‘এটা ঠিক, এই সাইট আজকের দিনে প্রচারের একটা সক্রিয় মাধ্যম। এখনও ততটা স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠতে পারিনি। ধীরে ধীরে শিখছি।’’ সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণাও মাস কয়েক আগেই ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সন্তোষবাবু বলেন, “দলের ছাত্র-যুবরাই ই-প্রচার সারছেন। আমি ধীরে ধীরে শিখছি।’’