Advertisement
E-Paper

আবাস-দাওয়াইখানা! গঠিত তদন্ত কমিটি

পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হলদিয়া পুরসভাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরপ্রশাসক। সেখানে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০৮
আবাস যোজনার বাড়ি এখন ওযুধের দোকান।

আবাস যোজনার বাড়ি এখন ওযুধের দোকান। প্রতীকী চিত্র।

আবাস যোজনার বাড়ি কী ভাবে ওষুধের দোকানে পরিণত হল তা খতিয়ে দেখতে তৈরি হল একটি তদন্ত কমিটি।

আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে হলদিয়া পুরসভার ২৪ নং ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম নগর কলোনির বীরাঙ্গনা ব্লকের বাসিন্দা আরতি প্রধানের জন্য বরাদ্দ আবাস যোজনার বাড়িতে বিলাসবহুল ওষুধের দোকান তৈরির ঘটনাটি সামনে আসায়। শিল্প শহরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। গঠন করেছে তদন্ত কমিটি। হলদিয়ার মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে ওপর ভিত্তি করে আইনানুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত হলদিয়া পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় মহকুমা শাসকের নেতৃত্বাধীন প্রশাসকমণ্ডলী পুরসভার কাজকর্ম চালাচ্ছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হলদিয়া পুরসভাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরপ্রশাসক। সেখানে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই কমিটির মাথায় আছেন এক পুর আধিকারিক। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তিনটি ধাপে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। প্রথমত, এই বাড়ি যখন ওই উপভোক্তা (আরতি প্রধান) পেয়েছিলেন তখন তাঁর আর্থিক অবস্থা ও অন্যান্য পরিস্থিতি কেমন ছিল। তিনি নিজের সম্পর্কে যা তথ্য দিয়েছিলেন তা আদৌ সঠিক কিনা, দ্বিতীয়তঃ বর্তমান উপভোক্তার আর্থিক অবস্থা এবং তৃতীয়ত স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে কী বলছেন অর্থাৎ স্থানীয় স্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা।

পুরসভা সূত্রে খবর, যদি দেখা যায় উপভোক্তা অর্থাৎ আরতি প্রধান কোনও তথ্য গোপন করে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছেন তা হলে পুরসভার তরফে টাকা ফেরত দেওয়ার নোটিস দেওয়া হবে। যদি উপভোক্তা টাকা না ফেরত দেন তা হলে উপভোক্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে। পুর আধিকারিকদের একাংশের দাবি, উপভোক্তার বাসস্থান নেই বলে তাঁকে বাসস্থান স্বরূপ আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়। সেই বাড়ি কোনও ভাবেই তিনি কাউকে ভাড়া দিতে পারেন না। যদি দেখা যায়, উপভোক্তা আবাস যোজনা বাড়িতে না থেকে অন্যত্র থাকছেন তা হলে ধরে নেওয়া হয় তাঁর অন্যত্র বাসস্থান আছে। তিনি পুরসভা কে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।

আবাস যোজনায় পাওয়া আরতির বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ওষুধের দোকান করেছেন তমলুকের নিমতৌড়ি বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মাইতি । তিনি বলেন, ‘‘ওই বাড়ির (আবাস যোজনার বাড়ি) সামনের দু’টি দোকানে পোস্টার লাগানো ছিল। পোস্টারে বলা হয়েছিল, ওই বাড়িটি দোকান হিসেবে ভাড়ায় দেওয়া হবে। আমি জানতাম না এর মধ্যে এত সমস্যা রয়েছে। আমাকে বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার সময় কিছুই বলা হয়নি। আমি নিজের খরচে সমস্ত কিছু সাজিয়েছি। বাড়ির মালিককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলছেন দেখছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy