Advertisement
E-Paper

কালভার্টের কাজে থমকে উড়ালপুল চালু

উড়ালপুল সংলগ্ন দু’টো কালভার্টকে ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন কালভার্ট। আর তার ফলে চালু করা যাচ্ছে না উড়ালপুল। পূর্ত দফতর মর্জিমতো কাজ করছে-এই অভিযোগ তুলে এখন রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘাটালের বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০১:০৪

উড়ালপুল সংলগ্ন দু’টো কালভার্টকে ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন কালভার্ট। আর তার ফলে চালু করা যাচ্ছে না উড়ালপুল। পূর্ত দফতর মর্জিমতো কাজ করছে-এই অভিযোগ তুলে এখন রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘাটালের বাসিন্দারা। বন্যাতেও ব্যাপক দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলনে, ‘‘পূর্ত দফতরকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এখন তো আর কিছু করার নেই। তাই বন্যার কথা ভেবে নৌকাও মজুত রাখা হয়েছে।”

একটু বৃষ্টিতেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়া ঘাটালে নতুন কোনও ঘটনা নয়। এমনকী জলের দখলে চলে যায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কও। স্বাভাবিক ভাবেই বন্যা হলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উপরই রয়েছে একাধিক চাতাল (কজওয়ে)। বন্যার সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বছর তিনেক আগে সংশ্লিষ্ট সড়কে দু’নম্বর চাতালের উপর উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছিল। ঘাটালের বাসিন্দাদের বহু প্রতীক্ষিত উড়ালপুলের কাজও শেষ। কিন্তু পূর্ত দফতরের গা জোয়ারির কারণে বন্যাতেও দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। কারণ, উড়ালপুল তৈরি হয়ে গেলেও মালপত্র ধারেই পড়ে রয়েছে। কালভার্ট তৈরি হওয়ায় আর কোনও খালি জায়গাও নেই। তাই বন্যার সময় নৌকাতেও উঠতে পারবেন না নিত্যযাত্রীরা। আর এতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসন থেকে ঘাটালের বাসিন্দাদের।

ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইও ক্ষোভের সুরে বলেন, “পূর্ত দফতর এই সমস্যা ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করল। বর্ষা কেটে গেলে কালভার্ট তৈরি হলে এই সমস্যায় পড়তে হত না।” তবে দফতরের সহকারী বাস্তুকার অমিত চৌধুরীর কথায়, ‘‘কালভার্টের কাজটিও জরুরি ছিল। তাই আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়ে কাজ শুরু করেছি। ঠিকাদার সংস্থাকে দ্রুত কাজের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

kalbert flyover
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy