চলতি মাসেই মেদিনীপুরে আসছেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠন এআইএসএফ এবং এআইওয়াইএফের ডাকে দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’ শুরু হয়েছে। এ রাজ্যে কর্মসূচির সূচনা হবে মেদিনীপুর থেকে। সেখানেই থাকবেন কানহাইয়া। মেদিনীপুর শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন এই ছাত্র নেতা। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যে এসেছিলেন কানহাইয়া। ন’মাস পরে ফের রাজ্যে আসছেন তিনি। কানহাইয়ার এই সফর ঘিরে বামপন্থী, বিশেষ করে সিপিআইয়ের ছাত্র- যুব সংগঠনের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ‘ভারত বাঁচাও, ভারত বদলাও’-এই স্লোগানকে সামনে রেখেই দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’- এর ডাক দিয়েছে সিপিআইয়ের ছাত্র- যুব সংগঠন। কন্যাকুমারী থেকে হোসেনিওয়ালা পর্যন্ত এই মার্চ হবে। গত ১৫ জুলাই কর্মসূচি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শেষ হবে ১২ সেপ্টেম্বর। এ রাজ্যে কর্মসূচির সূচনা হবে ২১ অগস্ট। সমাপ্তি ২৪-এ। ২১ অগস্টই মেদিনীপুরে আসবেন কানহাইয়া।
বছর খানেক আগে দিল্লির ‘দেশদ্রোহী’ বিতর্কে নাম জড়ায় কানহাইয়া কুমারের। পরে তদন্তে অবশ্য কানহাইয়ার মুখে দেশবিরোধী কোনও স্লোগান খুঁজে পায়নি পুলিশ। জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের বিদায়ী সভাপতি কানহাইয়ার প্রাণবন্ত বক্তৃতায় ধর্মান্ধতা, জাতপাত, ইতিহাসে সঙ্ঘ পরিবারের ভূমিকা, লিঙ্গবৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, ঋণনির্ভর পুঁজিবাদের ব্যাখ্যার মতো নানা দিক থাকে। যা শ্রোতাদের চনমনে করে দেয়। বক্তৃতা শেষে ডাফলি বাজিয়ে আজাদির স্লোগানও দেন এই ছাত্র নেতা। জেলা সিপিআইয়ের এক নেতা বলছিলেন, “অনেক কঠিন কথা খুব সহজে বলে ফেলেন কানহাইয়া। তাই ওঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমরা নিশ্চিত, মেদিনীপুরের এই সমাবেশ ঐতিহাসিক হবে।”