তাণ্ডবের সাক্ষী ভাঙা গাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে একটি কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত এক পুলিশকর্মী।
কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল খড়্গপুরের রেশমি মেটালিক্স পরিচালিত ওড়িশা রেশমি ৪ নম্বর ইউনিটে। ভাঙচুর করা হয় কারখানার একাধিক গাড়ি, অফিস, সিকিউরিটি রুম। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ইটের ঘাটে জখম হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোকুলপুরে খড়্গপুর রেশমি মেটালিক্সের অধীনে থাকা ওড়িশা রেশমি ৪ নম্বর ইউনিটে বুধবার সন্ধ্যায় কর্মরত অবস্থায় উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রাহুল কুমার (৩৭) নামে এক ঠিকা শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের বাড়ি বিহারে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন কারখানার অন্যান্য শ্রমিকেরা। কারখানার গেট বন্ধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু হয়। কর্তৃপক্ষকে আটকে রেখে অফিস, সিকিউরিটি রুম-সহ পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পাঠাতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
খড়্গপুর গ্রামীণ থানার সাদাতপুর ফাঁড়ি ও খড়্গপুর টাউন থানার বিশাল পুলিশবাহিনীর ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তাতে আহত হন এক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। কিন্তু কারখানার গেট থেকে ওঠানো যায়নি বিক্ষোভরত শ্রমিকদের। এর পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনা নিয়ে এখনও কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy