Advertisement
E-Paper

এসিজেএম এজলাস বয়কট 

আদালত সূত্রের খবর, এসিজেএম এজলাসে পুলিশ ফাইল হয়। ঘাটাল মহকুমায় মোট তিনটি থানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৬
এজলাসে যাননি আইনজীবীরা। নিজস্ব চিত্র

এজলাসে যাননি আইনজীবীরা। নিজস্ব চিত্র

বিচারকের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার ঘাটাল আদালতের এসিজেএম এজলাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কট শুরু করলেন আইনজীবীরা। একই ভাবে এজলাস বয়কট করেছেন ল’ক্লার্করা। বয়কটের জেরে ওই এজলাসে পুলিশ ফাইল ছাড়া এ দিন কোনও কাজ হয়নি।

ঘাটাল আদালতে আইনজীবীদের দু’টি সংগঠন রয়েছে। ঘাটাল বার অ্যাসোসিয়েশন ও ঘাটাল ক্রিমিনাল কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। দুই সংগঠনের আইনজীবীরাই জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। ঘাটাল বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবপ্রসাদ পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচারক আইনজীবীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার করেন। তার জেরে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে। তাই আমরা প্রতিবাদ করছি।” ঘাটাল ক্রিমিনাল কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অসিত মণ্ডলের কথায়, “অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কট চলবে। নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানানো হবে।” আইনজীবীদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে বয়কটে শামিল হয়েছেন ওই এজলাসের ল’ক্লার্করাও। ঘাটাল ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আইনজীবীরা ওই এজলাসে কাজ করছেন না। তাঁদের প্রতিবাদকে সমর্থন করছি। আমরাও ওই এজলাসে কাজ করছি না।’’

আদালত সূত্রের খবর, এসিজেএম এজলাসে পুলিশ ফাইল হয়। ঘাটাল মহকুমায় মোট তিনটি থানা। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা ও দাসপুর। এই তিনটি থানার যাবতীয় মামলার আসামিদের তোলা হয় এসিজেএম এজলাসে। এ ছাড়াও ওই আদালতে অন্য মামলার শুনানিও হয়। প্রতিদিন সাক্ষীরা আসেন। মামলার বিচারের পাশাপাশি আইনজীবীরা পুরনো মামলার অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন করেন। এ দিন থেকে এ সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরে বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় পড়েন।

এ দিন ঘাটালের মনসুকা ঘেঁষা রামচক থেকে আদালতে এসেছিলেন নিত্য হাজরা। তাঁর কথায়, “একটি মামলায় প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা চলছিল। আট সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এই নির্দেশ থেকে মুক্তি পেতে কোর্টে এসেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি।” ক্ষীরপাইয়ের ঘনশ্যাম মাঝি বললেন, “আমার সাক্ষ্য ছিল। মামলার কাজ হয়নি। কবে আসতে হবে তা-ও জানতে পারলাম না।” মাস তিনেক আগে ওই বিচারক এসিজেএম হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। বয়কট করা আইনজীবীদের অভিযোগ, ওই বিচারক বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি করেন। সরকারি আইনজীবী নইমুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এ দিন পুলিশ ফাইল হয়েছে।’’

ঘাটালে পাঁচটি আদালত। এসিজেএম এজলাস ছাড়া বাদবাকি সব আদালতেই স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। আইনজীবীরাও বিচারপ্রক্রিয়া অংশ নিয়েছিলেন।

Ghatal Court Lawyers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy