হাসপাতালে পরিষেবার বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলর। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে হাসপাতালের মানোন্নয়নের কথা জানিয়ে ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ-কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেন জেলাশাসক। জেলা হাসপাতাল চত্বরে সৌন্দর্যায়নের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বরাদ্দ অর্থে সৌন্দর্যায়ন হলেও হাসপাতালের পরিষেবার হাল ফিরবে কবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
পুরসভা সূত্রের খবর, বরাদ্দ অর্থে ঝাড়গ্রাম পুরসভা ঠিকাদার নিয়োগ করে হাসপাতাল চত্বরে সৌন্দর্যায়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। এই টাকায় হাসপাতাল চত্বরে মধ্যে দু’টি হাইমাস্ট আলো, ৪০টি পথবাতি, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, ক্যান্টিন ও বেশ কয়েকটি ফোয়ারা-সহ বাগান তৈরি করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতরও পৃথক ভাবে হাসপাতাল চত্বরে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করবে। সে জন্য পৃথক অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ (ঝাড়গ্রাম) অশ্বিনীকুমার মাঝি বলেন, “প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রোগী ও তাঁদের পরিজনরা উপকৃত হবেন।” অশ্বিনীবাবু জানান, হাসপাতাল চত্বরে মাদার টেরিজার একটি মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “হাসপাতাল হল সেবাকেন্দ্র। সেই কারণেই আমরা সন্ত টেরিজার মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ঝাড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা তাপস মাহাতোর অবশ্য কটাক্ষ, “হাসপাতালের বাইরেটা সাজিয়ে কী হবে। সুপার স্পেশ্যালিটির ঝাঁ চকচকে ভবন-সহ সমস্ত ওয়ার্ডের ভিতরেই কমবেশি অব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্নতার ছবি। হাসপাতালের সার্বিক ছবির বদল হওয়া জরুরি।”
যদিও হাসপাতালের পরিষেবার ছবিটা বদলাবে কবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ঝাড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা তাপস মাহাতোর অবশ্য কটাক্ষ, “হাসপাতালের বাইরেটা সাজিয়ে কী হবে। সুপার স্পেশ্যালিটির ঝাঁ চকচকে ভবন-সহ সমস্ত ওয়ার্ডের ভিতরেই কমবেশি অব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্নতার ছবি। হাসপাতালের সার্বিক ছবির বদল হওয়া জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy