Advertisement
E-Paper

পুজোর খরচ বাঁচিয়ে গ্রন্থাগার তৈরির উদ্যোগ

গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের জন্য বছর আঠারো আগে চালু হয়েছিল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। কিন্তু এলাকায় বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তির প্রবণতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র।

আনন্দ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৮
এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রেই গ্রন্থাগার তৈরির পরিকল্পনা। নিজস্ব চিত্র

এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রেই গ্রন্থাগার তৈরির পরিকল্পনা। নিজস্ব চিত্র

গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের জন্য বছর আঠারো আগে চালু হয়েছিল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। কিন্তু এলাকায় বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তির প্রবণতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। বন্ধ ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রকে গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে তমলুকের নোনাকুড়ি বাজারের এক দুর্গাপুজো কমিটি। এর জন্য পুজোর খরচের একাংশ বাঁচিয়ে গ্রন্থাগারের জন্য বই ও আসবাবপত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি বাজার। বাজারের পাশেই নোনাকুড়ি সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে গত ১৮ বছর ধরে। পুজো ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি রয়েছে উদ্যোক্তাদের। সেই পথ ধরেই এ বার উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন এলাকার স্কুল-কলেজের পড়ুয়া-সহ সাধারণ মানুষের বই পড়ার চাহিদা পূরণে। আর সে জন্যই গ্রামে বন্ধ ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে গ্রন্থাগার তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। এর জন্য কাটছাঁট করা হয়েছে পুজোর বাজেটেও। পুজো কমিটির তরফে জয়দেব বর্মন বলেন, ‘‘শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খারাপ লেগেছিল। কী ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ফের মানুষের কাজে লাগানো যায় সেই ভাবনা থেকেই গ্রন্থাগার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে।’’

পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক জয়দেববাবু বলেন, ‘‘আর্থ-সামাজিক উন্নতির কারণে বেসরকারি স্কুলের উপর অভিভাবকেরা বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। তাই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি অস্তিত্ব হারিয়েছে। তবে এলাকায় তিন কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের জন্য কোনও গ্রন্থাগার নেই। তাই ওখানে গ্রন্থাগার তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকায় গ্রন্থাগারের বই ও আসবাবপত্র কেনা হবে।’’ তিনি জানান, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ঘর গ্রন্থগারের জন্য ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় বল্লুক-১ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে আবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধান শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।’’

এলাকায় গ্রন্থাগার গড়ার কথা শুনে খুশি স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরাও। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শান্তনু মন্ত্রী, কলেজ পড়ুয়া প্রসেনজিৎ বর্মনের কথায়, ‘‘পড়ার বইয়ের বাইরে গল্প-উপন্যাস পড়ার ইচ্ছা থাকলেও এলাকায় গ্রন্থাগার না থাকায় অসুবিধা হয়। কারণ ওই সব বই কিনে পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সকলের নেই। তাই গ্রন্থাগার চালু হলে বইপ্রেমীদের উপকার হবে।’’

Library Durga Puja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy