প্রতীকী চিত্র।
আইনি জটে এখনও আটকে বিজেপির ঘোষিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কায় কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে পরবর্তী প্রার্থী কে, তা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রচারে দেখা যায়নি ঘোষিত প্রার্থী দেবাশিস সামন্তকে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন সৌরেন্দ্র মোহন জানা। যিনি ২০১৭ সালে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে। জেলা বিজেপির একটি সূত্র খবর, বুধবার রাতে সৌরেনবাবুর কাছে রাজ্য নেতৃত্ব একটি বার্তা পাঠিয়েছে। তাঁর জন্য মনোনয়ন দাখিলের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতর থেকে সৌরেনবাবু মনোনয়নপত্র তুলেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন কাঁথি মহকুমা আদালতে সৌরেনবাবু এফিডেবিট ও পুরনো মামলা সংক্রান্ত আইনি পরামর্শ সেরে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এক সময় তৃণমূল করতেন সৌরেনবাবু। পরে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। গত বিধানসভা উপ নির্বাচনে ৫২ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সৌরেনবাবুর ব্যক্তিগত প্রভাবে এটা সম্ভব হয়েছিল বলে বিজেপি শিবিরের একাংশ মনে করেন। ৩১.৮৬ শতাংশ ভোট পাওয়া সৌরেনবাবুকে নিয়েই তাই আগ্রহ বেড়েছে। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাঁথি প্রসঙ্গে জানান, নিবার্চন কমিশনের সম্মতি না পেলে, নতুন কাউকে কাঁথি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কাঁথি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল পেশায় সরকারি চিকিৎসক দেবাশিস সামন্তকে। তিনি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য আগেই স্বাস্থ্য দফতরে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেনি। এরপর দেবাশিসবাবু হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অথচ ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বিড়ম্বনায় গেরুয়া শিবির। আগামী ২০ এপ্রিল তমলুক ও কাঁথি কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট কী রায় দেয়, তারই অপেক্ষায় দল। তবে বিকল্প হিসাবে যাঁকে ভাবা হয়েছে সেই সৌরিনবাবু এদিন বলেন, ‘‘সব দলেই ডামি থাকে। তাই পার্টি নেতৃত্বের নির্দেশে মনোনয়ন তুলেছি। দেবাশিসবাবু প্রার্থী হতে পারলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেব।’’
দলের জেলা সভাপতি (কাঁথি) তপন কুমার মাইতি বলেন, ‘‘হাইকোর্ট সম্মতি না দিলে, নতুন কেউ হতে প্রার্থী হবেন। পুরো বিষয়টি কেন্দ্র রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy