চাষের কাজে চাষিদের আর্থিক সাহায্য দিতে রাজ্য সরকারের তরফে চলতি বছরেই চালু হয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প। বছরের রবি ও খারিফ মরসুমে দু’দফায় মিলিয়ে এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এক থেকে ৮০ ডেসিমাল পর্যন্ত জমির জন্য বছরে ২ হাজার টাকা ও ৪১ ডেসিমাল থেকে ৯৯ ডেসিমাল পর্যন্ত ডেসিমাল পিছু পঞ্চাশ টাকা, আর এক একরের বেশি জমির জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ওই প্রকল্পে জমির মালিকদের চেক বিলিও শুরু হয়েছিল রাজ্যে।
জেলার ২৫টি ব্লকের কয়েক হাজার চাষির হাতে প্রকল্পের চেক ইতিমধ্যে তুলেও দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েক হাজার চেক এসে পড়ে রয়েছে জেলার বিভিন্ন ব্লকে। কিন্তু এই চেক আদৌ বিলি করা যাবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ নিবার্চনী আচরণ বিধি। গত ১০ মার্চ লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরেই চালু হয়ে গিয়েছে নিবার্চনী আচরণ বিধি। গত মঙ্গলবার থেকে কোলাঘাট ব্লকে এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য দেড়িয়াচক পঞ্চায়েত অফিসে ফর্ম পূরণের কাজ শুরু হয়েছে। আর এতেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ফর্ম পূরণের জন্য রবিবার ও সোমবার এলাকায় মাইক দিয়ে প্রচার চালানো হয় পঞ্চায়েতের তরফে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ও বুধবার এলাকার কৃষকরা পঞ্চায়েত অফিসে ভিড় করেন ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়ার জন্য। বিজেপির তরফে অভিযোগ পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক কোলাঘাটের বিডিওকে ফর্ম বিলির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কোলাঘাটের বিডিওর নির্দেশে কোলাঘাট ব্লক কৃষি দফতরের অধিকারিকগণ পুলিশ নিয়ে দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে তাঁরা ফিরে আসেন।