আইপিএস অফিসার থাকাকালীন তাঁর উপর ‘আস্থা’ রাখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও তখন মমতাকে বলতেন ‘জঙ্গলমহলের মা’। ভোলবদলে সেই ভারতী ঘোষ এখন রাজ্য সরকারকে বিঁধছেন পুলিশি নির্ভরতা নিয়ে।
মঙ্গলবার ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের মাঠে নির্বাচনী সভা ছিল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতীর। সভাতেই তিনি বলেন, ‘‘শরীর খারাপ হলে ওষুধ, ইঞ্জেকশন নিতে হয়। আর সরকার অসুস্থ হলে পুলিশের উপর ভর করে। এই সরকার অসুস্থ। পুলিশ না থাকলে সরকার একদিনও থাকবে না। একদিন পুলিশ সরে যাক। সরকারটা নেপাল-ভুটান বা ইমরান খানের পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নেবে।”
ভারতীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে শাসক দলও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষ সরকারকে অসুস্থ বলছে। এই দশকের এটা সবচেয়ে বড় উপহার।” অজিতের কথায়, “পুলিশ পুলিশের কাজ ঠিকই করবে। সেটা কাউকে মনে করাতে হবে না। পুলিশকে উপদেশ না দিয়ে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি মেনে নিন।” ভোটের ময়দানে তাঁর নিজের অতীত যে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, সোমবার দাসপুর ও ডেবরায় প্রচারে গিয়ে বুঝেছিলেন ভারতী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘একজন পুলিশ সুপারের চাকরির জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার হিসেবে যে ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দরকার করেছি। প্রশ্ন উঠলে জবাব দেব।’’ তৃণমূল এখন ভারতীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সামনে আনতে চাইলেও এ দিন কিন্তু সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।
তবে ভারতী পুলিশ প্রসঙ্গ ছুঁয়ে যাওয়ার খুশি বিজেপি শিবির। এক বিজেপি নেতার কথায়, “এ বারের ভোটেও পুলিশ বড় ফ্যাক্টর। বিশেষ করে ঘাটাল। তাই আগেভাগেই ভারতী পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার বার্তা দিয়ে রাখলেন।” এ দিনের সভা থেকে পুলিশের উদ্দেশে ভারতীকে বলতে শোনা যায়, “পুলিশ সাবধান, পুলিশ সাবধান, পুলিশ সাবধান।”