মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির থেকে তিন জন দশম স্থান পেয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাদের মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা দেন। নিজস্ব চিত্র
গতবার ছিল ৬ জন। এ বার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় (প্রথম দশে) স্থান করে নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ জন। এর মধ্যে ৭ জনই মেদিনীপুর শহরের। এদের মধ্যে ৪ জন সারদা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। ৩ জন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র। আর ঝাড়গ্রাম থেকে প্রথম দশে রয়েছে একজন কৃতী। অর্থাৎ দুই জেলা মিলিয়ে প্রথম দশে রয়েছে দশ জনই।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ৯২.১৩ শতাংশ। পাশের হারের নিরিখে এই জেলা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত এ জেলার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক রাজীব মান্না বলেন, ‘‘পাশের হার ভালই। শিক্ষায় জেলা এগোচ্ছে।’’ ২০১৬ সালে পাশের হার ছিল ছিল ৮৫.৮১ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ৯৪.৬২ শতাংশ। গতবার পাশের হারে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থান ছিল তৃতীয়। এ বার একধাপ পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
এই জেলায় গত বছরের থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছিল প্রায় ২১ হাজার। পাশের হারে ছাত্রীর থেকে এগিয়ে ছাত্র। ছাত্রদের পাশের হার ৯৫.১৬ শতাংশ, ছাত্রীদের পাশের হার ৯১.০২ শতাংশ। রাজ্যে প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে ১১৮ জন। এরমধ্যে ৯ জন এই জেলার। প্রথম দশ স্থানাধিকারীর মধ্যে রয়েছে মেদিনীপুর শহরের সাত কৃতী। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘এ বার জেলার ফল ভালই হয়েছে। মেদিনীপুরের ফলও খুব ভাল হয়েছে।’’
পাশের হারে পূর্ব মেদিনীপুর এ বারও সেরা। তবে এ ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের ধীরে ধীরে সামনে উঠে আসা, এবং সেটা ধরে রাখা চমকপ্রদই। শালবনির জয়পুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মণ্ডল, কেশপুরের তোড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল গুড়ে প্রমুখ বলছেন, ‘‘পাশের হারে জেলার স্থান ভালই। এটা ধরে রেখে আরও এগোতে হবে।’’ জেলার একাংশে জঙ্গলমহল রয়েছে। জঙ্গলমহল এলাকার ছাত্রছাত্রীরাও ফল ভাল করেছে।
জেলার এক শিক্ষা আধিকারিকের কথায়, ‘‘জঙ্গলমহল এলাকার ফল ভাল না হলে তো তার প্রভাব পড়ত জেলার সার্বিক পাশের হারের উপর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy