Advertisement
E-Paper

দু’দিনের জেলা সফরে আজ ঝাড়গ্রামে মমতা

আজ, বুধবার দুপুরে দু’দিনের জেলা সফরে ঝাড়গ্রামে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে এই প্রথম বার প্রকাশ্য সভা ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৪১
ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর মিলন অনুষ্ঠান মঞ্চের কাজ চলছে। দেবরাজ ঘোষের তোলা ছবি।

ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর মিলন অনুষ্ঠান মঞ্চের কাজ চলছে। দেবরাজ ঘোষের তোলা ছবি।

আজ, বুধবার দুপুরে দু’দিনের জেলা সফরে ঝাড়গ্রামে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে এই প্রথম বার প্রকাশ্য সভা ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত জুনে ঝাড়গ্রামে এসে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহল মুখ্যমন্ত্রীর বরাবরই প্রিয়। সেই সাধের জঙ্গলমহলে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম সভা ও জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন হচ্ছে।

পুলিশ-প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আজ, বুধবার বিকেলে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে ঝাড়গ্রাম হেলিপ্যাডে নামার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিলন অনুষ্ঠান’-এ যোগ দিতে যাবেন মমতা। অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য নয়। প্রায় হাজার তিনেক আমন্ত্রিত আসবেন ওই সভায়। এ জন্য স্টেডিয়ামের মাঠজুড়ে ৫০ হাজার বর্গফুটের ছাউনি দেওয়া বসার জায়গা-সহ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হয়েছে অ্যান্টি চেম্বার-সহ ১৪০০ বর্গফুটের মূল মঞ্চ। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে পারেন, সেজন্য অপেক্ষাকৃত নিচু সাংস্কৃতিক মঞ্চও করা হয়েছে। মূলত, বিভিন্ন পুজো কমিটি, ইদ কমিটি, ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সদস্যরা রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়। থাকবেন শাসক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও।

ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসপি ভারতী ঘোষ জানান, মিলন অনুষ্ঠানে ২০০টি দুর্গাপুজো কমিটি, ১৩৪টি কালীপুজো কমিটি, ৭৫০টি ক্লাব, প্রায় সত্তরটি ইদ ও মহরম কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন চার্চ কমিটি, বৌদ্ধ, জৈন-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও। এসপি জানান, অনুষ্ঠানে থাকবেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী শুভকরানন্দ, ঝাড়গ্রামের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ কন্যাগুরুকুলের পরিব্রাজিকা আত্মহৃদয়া প্রমুখ।

ঘন্টাখানেকের ওই অনুষ্ঠান সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন পর্যটন দফতরের রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স-এ। সেখানে রাতে থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়কপথে জামবনি যাওয়ার কথা মমতার। তবে হেলিকপ্টারও প্রস্তুত থাকবে। বৃহস্পতিবার জামবনি বাণীবিদ্যাপীঠ স্কুলের মাঠে প্রশাসনিক জনসভায় জেলার ১৩৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ১৬৭ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন অনুষ্ঠানে মোট ২২ হাজার ৫৫০ জন উপভোক্তার হাতে ৬৯ ধরনের বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন-পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৮৭ জন উপভোক্তার হাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিষেবা তুলে দেবেন। বাকিরা অনুষ্ঠানের কাউন্টার থেকে পরিষেবা সংগ্রহ করবেন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, সবুজ সাথী প্রকল্পে পাঁচহাজার দশ জন পড়ুয়াকে দেওয়া হবে সাইকেল, দু’হাজার দশ জন ছাত্রী পাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের পরিষেবা। ১,২৩৯টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে জমির পাট্টা। চারশো জন লোকশিল্পীকে লোকপ্রসার প্রকল্পের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। জামবনি বাণীবিদ্যাপীঠ মাঠে প্রশাসনিক জনসভার জন্য প্রায় তিন লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে সভাস্থল তৈরি করা হয়েছে। জামবনির অনুষ্ঠান সেরে হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফিরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সড়কপথেও কলকাতা ফেরার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলার প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

Mamata Banerjee Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy