প্রত্যয়ী: সোমবার খড়্গপুরের জনসভায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
গত বিধানসভা ভোটে দলের বিপুল জয়ের মাঝেও খড়্গপুরে হার তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। রেলশহর মুখ ফেরানোয় দমে না থেকে ফের ঘর গুছনোর কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রেলশহর পুনরুদ্ধারের ভার দিলেন দলের তিন সেনাপতি মানস ভুঁইয়া, নির্মল ঘোষ ও প্রদীপ সরকারের কাঁধে।
সোমবার খড়্গপুরের ইন্দার কলেজ ময়দানে আয়োজিত প্রশাসনিক সভার প্রথম থেকেই মমতার আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি। বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়্গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষের কাছে এই বঞ্চনার কারণ জানতে চাওয়ার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘খড়্গপুরে যাঁকে ভোটে জিতিয়েছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন কেন্দ্র রাজ্যের টাকা দেয় না। কেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা এখনও আসেনি। এই বৈষম্য, বঞ্চনা কেন?”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একবছর আগে খড়্গপুরে আমি বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসেছিলাম। নির্বাচনের পরে এসেও বলে গেলাম ওঁরা থাকবে না, আমরা থাকব। এটাই প্রমাণ করতে এসেছিলাম। আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।” সভায় মমতার প্রশ্ন, “চুরি করে তো ওঁরা ভোট নিয়েছে। তার পরে এক বছর তো হল কী পেলেন? আমি তো আপনাদের সঙ্গে আছি।
সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবু, দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মলবাবু ও তৃণমূলের খড়্গপুর শহর সভাপতি তথা পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর হাতে রেলশহর পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব সঁপে মমতা বলেন, ‘‘মানসদা একটু খড়্গপুরকে দেখে রাখবেন। মানসদা, প্রদীপ, নির্মল একসঙ্গে খড়্গপুরকে নিয়ে কাজ করবে।’’ পরক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘সিপিএম তুমি কাঁদো। আর বিজেপি তোমাকে মানুষ বিশ্বাস করে না।”
শ্রীনু নায়ডু খুনের প্রসঙ্গ টেনে এ দিন মমতা বলেন, ‘‘খড়্গপুরে প্রদীপ কিন্তু ভাড়াটে গুণ্ডা এনে খুন করেনি। বলেনি যে, শ্রীনুকে খুন করে দাও। প্রদীপ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছে।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমি নির্বাচনের আগে স্টেডিয়াম করব বলেছিলাম। কাজ শুরু করে দিয়েছি। ওরা দাঙ্গা ছাড়া কিছু করেনি। হ্যাঁ, শ্রীনুকে খুন করেছে।” প্রশাসনিক বৈঠকে খড়্গপুরের আইসি জ্ঞানদেও প্রসাদ সাউকে দাঁড় করিয়ে মমতা বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় যারা জড়িত কেউ যেন ছাড় না পায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy