নেত্রীর ‘ধমক’ খাওয়ার পরের দিনেই গড়বেতায় এসে দলীয় কর্মীদের কথা শুনলেন বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। হাঁটলেন মিছিলেও।
শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দলীয় নেতৃত্বকে তৃণমূল ভবনে ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেখানেই গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীকে ধমক দিয়ে মমতা না কি বলেন, বিধায়ক বালি খাদান নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যই গড়বেতার ফল খারাপ হয়েছে। আশিসকেই দায়িত্ব নিয়ে গড়বেতা পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরেই শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে গড়বেতায় দলের ব্লক কার্যালয়ে চলে আসেন বিধায়ক। কথা বলেন দলের কর্মীদের সঙ্গে।
এ দিন বলরামপুরের দলীয় কর্মী কুতুবউদ্দিন মোল্লা বিধায়ককে সামনে পেয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলে জানান, দলের কর্মীদের এখন একসঙ্গে কাজে করতে হবে। গড়বেতা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাচ্চু শুকুল এ দিন গড়বেতা কলেজে চাকরি দেওয়া নিয়ে দলীয় নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। বাচ্চুর ক্ষোভ, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে লড়াই করে দলটা করছি। এখন বালি খাদান, কাটমানি, দুর্নীতিতে দলটা ভরে গিয়েছে।’’ সন্ধিপুরের কয়েকজন আবার পুলিশ কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় নেতাদের একাংশের কাজের সমালোচনা করেন অনেকেই। বিধায়ক জানান, বালি, কাটমানি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে তিনি বলেন, ‘‘দলের বহু কর্মী আজকে আমার সঙ্গে দেখা করে নানা অভিযোগ জানিয়েছেন। সবার কথা শুনেছি। পরামর্শ দিয়েছি। দল যে দুর্নীতিকে সমর্থন করে না সে কথা বলেছি। প্রতিটি অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা করে বসে পর্যালোচনা করা হবে।’’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গড়বেতায় তৃণমূলের ব্লক অফিসে হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন গড়বেতায় মিছিল করে তৃণমূল। সেখানেও বিধায়ক ছাড়াও ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সদ্য জেলার শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়া নির্মল ঘোষ, জেলা সহ সভাপতি রমাপ্রসাদ তেওয়ারি প্রমুখ। অজিতের দাবি, ‘‘গড়বেতার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেন। কর্মীদের নিয়েই গড়বেতা পুনরুদ্ধার করা হবে।’’
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরেই কোর কমিটির বৈঠক ডাকার তোড়জোড় শুরু করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মানছেন, ‘‘নেত্রী কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন। শীঘ্রই কমিটির বৈঠক হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy