প্রণাম: ক্ষুদিরামের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার কেশিয়াড়িতে প্রশাসনিক জনসভায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
সেতুবন্ধন
আমি কেশিয়াড়ি আজকে নতুন আসিনি। আগেও অনেকবার এসেছি। আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, নয়াগ্রামের সঙ্গে কেশিয়াড়ি যুক্ত করে দেওয়ার। একটা বড় ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার। স্বাধীনতার পরে ৬০ বছর হয়নি। কিন্তু আমাদের সরকার আসার পর এই ভসরাঘাট ব্রিজ, যেটা জঙ্গলকন্যা ব্রিজ, আমরা করে দিয়েছি। ঝাড়গ্রাম জেলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখান দিয়ে দিঘা গেলে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়।
ভাসাইলি রে
মেদিনীপুর জেলা রোজ বন্যায় ভাসত। কতদিন ধরে মানসদা, শুভেন্দু, শিশিরদারা বলত কেলেঘাই- কপালেশ্বরী করে দাও, করে দাও। কোনও দিন কেউ করেনি। আমাদের সরকার ইতিমধ্যে ৬০০ কোটি টাকার উপর খরচ করেছে। আগামী দিনেও করবে। যাতে বন্যায় ডুবে না যায়।
নীচু নয় উঁচু
মেদিনীপুরের ছাত্র-যৌবন জেনে রাখুন, মাথা নীচু করার দরকার নেই। অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী দিনে আরও কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ভাল কাজ হচ্ছে। গোয়ালতোড়, শালবনিতে হয়েছে। আরও যদি উন্নয়নের কাজ চান, আরও আমরা করে দেব।
অন্যায় যে করে
আমাদের মধ্যেও যদি কেউ অন্যায় করে বলবেন। আমরা উপযুক্ত শাস্তি তাদের দিই। এবং দেবও। আমাদের দল স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষ বাদ দিয়ে তৃণমূল নয়। তৃণমূলের সরকার নয়।
মাস্টার প্ল্যান
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা করতে বলছি, বারবার করে। বলছি কারণ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আমরা বলা সত্ত্বেও ওরা করছে না। ওরা রাজনীতিটা বেশি করে করছে।
আসব ফিরে
পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯টা কলেজ দেওয়া হয়েছে। ২০টা কর্মতীর্থ দেওয়া হয়েছে। আইটিআই, পলিটেকনিক দেওয়া হয়েছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কেশিয়াড়ি কেন যাবেন?। বলেছিলাম, হারিয়েছে বলেই তো বেশি করে যেতে হবে।
(কেশিয়াড়িতে প্রশাসনিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সংক্ষেপিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy