দেখতে পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। শিশুকে কোলে তুলে নিলেন। তাকে আদরও করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুটির কাছে ছিল প্ল্যাকার্ড। লেখা ‘আমি সবুজসাথী’।
মেদিনীপুরে পৌঁছে অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকেলের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় তখন সার্কিট হাউসের দিকে যাচ্ছে। সার্কিট হাউসের কিছু দূরে দাঁড়িয়েছিল একদল ছেলেমেয়ে। এক- একজনের কাছে এক- একটি প্ল্যাকার্ড। কারওটায় লেখা ‘আমি রূপশ্রী’, ‘আমি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’, কারওটায় লেখা ‘আমি লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘আমি কন্যাশ্রী’। বিভিন্ন প্রকল্পের নামাঙ্কিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে একদল ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখে গাড়ি থামান মুখ্যমন্ত্রী। সটান গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ওই ছেলেমেয়েদের কাছে চলে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌ রায়। তাঁর মেয়ের কোলে ছিল ওই শিশুটি। শিশুটিকে নিজের কোলে তুলে নেন মমতা। তাকে কিছুক্ষণ আদরও করেন। কাউন্সিলর মৌ বলছিলেন, ‘‘দিদি বাচ্চাটিকে নিয়ে আদর করেছেন। ছেলেমেয়েদের দেখে খুব খুশি হয়েছেন। আমরাও আপ্লুত।’’
আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রয়েছে। বুধবারই মেদিনীপুরে পৌঁছেছেন মমতা। সভাস্থলের অদূরে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। এদিন বিকেলে হেলিকপ্টারে মেদিনীপুরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ওই হেলিপ্যাডে নেমে যান সার্কিট হাউসে। গান্ধীমূর্তি মোড় হয়ে এলআইসি মোড়, কালেক্টরেট মোড়, কেরানিতলা হয়ে সার্কিট হাউসে পৌঁছয় তাঁর কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। তাঁকে দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। সার্কিট হাউসের কিছু দূরে একদল ছেলেমেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটতে হাঁটতেই তাদের কাছে যান। ওই ছেলেমেয়েদের মধ্যে তখন খুশির হাওয়া। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন ভিড়ে থাকা মানুষজনও তাঁকে কাছে পেয়ে তাঁদের অভাব- অভিযোগ শোনানোর চেষ্টা করছিলেন। 'দিদি, আমার ঘর হয়নি, ঘর পাইনি'- এমন নালিশ করেছেন রঞ্জিত রাণা নামে একজন। পরে শহরের কামারপাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত বলছিলেন, "আমি লেখাপড়া জানি না। আমি এখনও বাড়ি পাইনি (আবাস যোজনার), সে কথাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।" তাঁর দাবি, "দিদি আমার কথা শুনতে পেয়েছেন।"
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)