মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
কয়েকদিন আগে কেশপুরে বোমাবাজিতে দু’জন খুন হয়েছিলেন। মঙ্গলবার খড়্গপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই বিষয় তুলে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহাকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কেশপুরে ২ জন খুন হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে তো?’’ উত্তরে শিউলি বলেন, ‘‘হ্যা, গ্রেফতার হয়েছে।’’ শিউলি দাবি করেন, ‘‘ওটা পারিবারিক ব্যাপার। টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে হয়েছে।’’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে শিউলির উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি পুরোটা জানি। শিউলি কেশপুর দেখে নাও।’’
কেশপুর বরাবরই প্রশাসনের চিন্তার কারণ। কয়েকদিন চুপ থাকার পরে সেখানে প্রাণহানি হওয়ায় চিন্তা বেড়েছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্বেরও। দামোদরচক গ্রামে গিয়ে খুন হওয়া এক নাবালক-সহ দু’জনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে আসেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। তবে আগুন নেভেনি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের একদিন আগে, সোমবারও রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের তেতে ওঠে কেশপুর। গোলাড় অঞ্চলের মধুপুর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি মারপিট হয়।
এই পরিস্থিতিতে জেলায় এসে কেশপুর নিয়ে খোঁজখবর করে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওই জনপদকে কতটা গুরুত্ব দেন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিন কেশপুরের মোহবনিতে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থানকে আকর্ষণীয় করার জন্য পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান মমতা। অর্থ বরাদ্দও করা হয়েছে বলে এ দিনের বৈঠকে জানান তিনি। শিউলি কেশপুরে একটি আদিবাসী স্কুল চাইলে মুখ্যমন্ত্রী তাতেও সম্মতি জানান। জেলাশাসক ও মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন জমা দিতে বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy