বিজেপিকে ঠেকাতে এ বার সিপিএমের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলে শঙ্কিত হয়েই এই নির্দেশ। রবিবার বিকেলে সবংয়ের খড়িকায় তৃণমূলের সভায় হাজির ছিলেন মানসবাবু। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সবং ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলে বাড়ি-বাড়ি যান। খোঁজ নিন বাম কর্মীরা কী করছে। বাম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের বুঝিয়ে বলুন, নীতিগতভাবে আমাদের সঙ্গে আপনাদের ফারাক থাকলেও এখানে তো কোনও সিপিএম কর্মী অত্যাচারিত বা ঘরছাড়া হয়নি। তবে কোন কারণে বামের লাল পতাকা রামের কোলে দুলছে?”
কয়েকদিন আগে এই খড়িকাতে সভা করেছিল বিজেপি। আর মে মাসে সবংয়ে আসছেন তৃণমূলে যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় কর্মিসভা করছে তৃণমূল। এ দিন বিজেপির সভার পাল্টা হিসেবে খড়িকাতে তৃণমূলের কর্মিসভা হয়। কাঁথির উপ-নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসাটা যে তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে, তা এ দিন উপস্থিত নেতাদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে। সভায় বক্তব্যের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবু। মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মানসবাবুর দাবি, কাঁথির উপ নির্বাচনে বিজেপির ভাল ফলের পিছনে সিপিএমের রাজনৈতিক খেলা রয়েছে। তিনি বলেন, “সিপিএম নীতি-আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে লাল পতাকাকে ওদের (বিজেপি) কাছে সমর্পণ করে দিচ্ছে। বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কাঁথির ভোট তাঁর প্রমান।” এরপরেই বিজেপির বাড়-বাড়ন্তে শঙ্কিত মানসবাবু তৃণমূল কর্মীদের সিপিএমের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দেন।
এ দিনের সভায় মানসবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি প্রমুখ। প্রত্যেকেই সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি বিজেপিকে ঠেকানোর ডাক দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy