মাসে বেতন সাত থেকে দশ হাজার টাকা। এই টাকা রোজগার করতে গিয়েই মৃত্যু ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকে।
পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বিষ্টুপুরের বেসরকারি কোম্পানির হয়ে পাথর গুঁড়ো করার কাজে যোগ দিয়ে ফুসফুসের রোগ সিলিকোসিস এবং টিবি নিয়ে ফিরছেন নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, কেশিয়াড়ি ও দাঁতনের যুবকেরা। চাকরির অভাব, তাই পেটের টানে স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে পড়শি রাজ্যে পাথর ভাঙার কাজ নিচ্ছেন যুবকেরা।
ক্রাশার মেশিনে গুঁড়ো হওয়া পাথর নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকছে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ফুসফুসে। রোজগারের আশায় কাজে যাওয়া যুবকেরা কেউ ফিরছেন সিলিকোসিস, কেউ বা টিবি নিয়ে। স্থানীয়দের দাবি, সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। জামশেদপুরে প্রায় এক বছর কাজ করে সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন কেশিয়াড়ি ব্লকের বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের পলাশিয়া গ্রামের বুদ্ধদেব রানা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।