Advertisement
E-Paper

ময়ূরঝর্নায় তৈরি হবে নজর-মিনার

উঁচু থেকে ময়ূরঝর্নার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য তৈরি হচ্ছে নজর-মিনার

কিংশুক গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৩
 ময়ূরঝর্নায় সূর্যাস্ত। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

ময়ূরঝর্নায় সূর্যাস্ত। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

উঁচু থেকে ময়ূরঝর্নার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য তৈরি হচ্ছে নজর-মিনার (ওয়াচ টাওয়ার)। সেটি তৈরির জন্য জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। বন দফতরের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, জঙ্গলপথের চড়াইয়ের লাগোয়া এলাকায় ৮ মিটার উঁচু টাওয়ার তৈরি করা হবে।

আদিবাসীদের মযূরঝর্না গ্রামটি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। নাম মযূরঝর্না হলেও এখানে অবশ্য তেমন বড় কোনও ঝর্না নেই। পর্যটকেরা আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে। চাকাডোবা থেকে কাঁকড়াঝোর পর্যন্ত চওড়া পিচ রাস্তায় যাওয়ার পথে চোখে পড়ে মযূরঝর্নার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। রাস্তার চড়াই ও উতরাইয়ের সময়ে পাহাড় ও জঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। ময়ূরঝর্নায় সূর্যাস্তের শোভা দেখার জন্যও অনেকে আসেন।

ঝাড়গ্রামের একটি পর্যটন সংস্থার কর্তা সুমিত দত্ত বলেন, ‘‘ময়ূরঝর্না থেকে সূর্যাস্তের শোভা অসাধারণ। এই এলাকায় একটি নজর-মিনার হলে জঙ্গল-পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকরা খুব ভাল ভাবে দেখতে পারবেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম।’’ সুমিত জানান, অনেকেই ময়ূরঝর্নায় রাত্রিবাস করতে চান। তাই সেখানে বন দফতরের একটি প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার। তাহলে পর্যটকরা যেমন বেশি সংখ্যায় আসবেন, পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসীরা ‘গাইডে’র কাজ করতে পারবেন। তাঁরা পর্যটকদের কাছে নিজেদের হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি কিংবা অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রোজগারও করতে পারবেন।

জেলাশাসক আয়েষা রানি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১০০টি ‘হোম স্টে’ তৈরির পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতেই ওই ‘হোম স্টে’। ময়ূরঝর্নার কোনও বাসিন্দা হোম স্টে করতে আগ্রহী হলে প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা করা হবে। গত বছর সেপ্টেম্বরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ময়ূরঝর্না পরিদর্শনে এসেছিলেন। তখন পরিবেশের ক্ষতি না করে ওই এলাকায় পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ার প্রস্তাব জেলা প্রশাসনকে জমা দিতে বলেছিলেন গৌতমবাবু। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলাইচ্চি বলেন, ‘‘চাকাডোবা-কাঁকড়াঝোর রাস্তার মাঝে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ময়ূরঝর্না পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম জায়গা। পর্যটকেরা যাতে এখানে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারেন, সেই কারণেই এই পদক্ষেপ। নজর মিনার তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’’

Tourism Belpahari Travel Jungal Mahal Travel and Tourism Tourists Mayurjharna Elephant Reserve
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy