Advertisement
E-Paper

জ্বরের গ্রামে মশারি টাঙানোর নিদান স্বাস্থ্য কর্তাদের

গ্রামে মশার উপদ্রব ঠেকাতেও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিতে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। দু’জনের একটি মেডিক্যাল টিম রানিচক গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের শিবিরে আসার আবেদনম জানাচ্ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:১০
শিবির: রানিচকে চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র।

শিবির: রানিচকে চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র।

জ্বরে আক্রান্ত বাড়ছে দাসপুরের রানিচক গ্রামে। শুক্রবার আরও তিন জন নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের দল গ্রাম পরিদর্শন করেন। শুক্রবার গ্রামেই খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। শুরু থেকেই শিবিরে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় জমে যায়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “প্রথম দিনই ১৯২ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে। ১৬ জনের রক্তের কিট টেস্ট (ম্যালোরিয়া) ও ৫৫জনের রক্তের স্লাইড সংগ্রহ করা হয়েছে। ডেঙ্গির উপসর্গ থাকায় ১৫জনের রক্ত নিয়ে ম্যাক অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।”

গ্রামে মশার উপদ্রব ঠেকাতেও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিতে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। দু’জনের একটি মেডিক্যাল টিম রানিচক গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের শিবিরে আসার আবেদনম জানাচ্ছেন। দু’জন পতঙ্গবিদ গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। গ্রামে থাকা মশার আঁতুড়ঘরগুলি নষ্ট করার বিষয়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তাঁরা। জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “অযথা ভয়ের কারণ নেই। মশা বংশবৃদ্ধি রোধে জল জমতে দেওয়া যাবে না। মশারি ব্যবহারও জরুরি।”

রানিচক পঞ্চায়েতের প্রধান রিতা সামন্ত বলেন, “এ বার গ্রামের পুকুরগুলিতেও ব্লিচিং ছড়ানো হবে। নিময় করেই আবর্জনা পরিষ্কারও করা হবে।” দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুতাইতের কথায়, “পঞ্চায়েতে বেশি করে ব্লিচিং পাউডার পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। সচেতনতা শিবিরও করা হবে।”

Mosquito Net Mosquit Treatment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy