Advertisement
E-Paper

‘তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে যৌন নির্যাতন’, অভিযোগের ৭ দিন পর মেদিনীপুরে জাতীয় মহিলা কমিশন

রবিবার অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ‘নির্যাতিতা’র সঙ্গে কথা বলেন। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী এবং স্থানীয়দের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩৫

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সাত দিন আগে রবিবার বিকেলে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে শোরগোল হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে। অভিযোগ, বিবাদের মীমাংসার নামে ডেকে তৃণমূল কার্যালয়ে ‘অত্যাচার’ করেন এক তৃণমূল নেতা। তাঁকে সাহায্য করেন আরও এক জন। পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে মান্যতা দেয়নি। তবে বিজেপির অভিযোগ, মূল ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। আড়াল করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। সেই ঘটনার সাত দিন পরে ‘নির্যাতিতা’র বাড়িতে গেলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা।

রবিবার অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ‘নির্যাতিতা’র সঙ্গে কথা বলেন। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী এবং স্থানীয়দের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছেন কমিশনের সদস্যেরা। পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি এবং পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। পরে অর্চনা বলেন, ‘‘ওই দিন কী হয়েছিল তার বিবরণ দিয়েছেন নির্যাতিতা। সাত দিন হয়ে গিয়েছে। এখনও শরীরে তিন জায়গায় দাগ রয়েছে। তার ছবি সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। অত্যাচারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাব। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও উত্তর চাইব। অভিযোগ হওয়ার পরেও কেন গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তকে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।’’

বস্তুত, নারায়ণগড়ে তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ জানানোর পরে ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতাল এবং পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল রিপোর্টে অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। রিপোর্টে উল্লেখ নেই ধর্ষণের কথা। ঘটনাক্রমে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টর মোড়ে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাশাপাশি অভিযোগকারিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যানী এমসে। গত শুক্রবার বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা। রবিবার তাঁর সঙ্গে কথা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা দেখা করে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। কমিশনের সদস্য অর্চনা বলেন, ‘‘আইন বলছে, গ্রেফতার করতে হয়। পুলিশ করেনি। কারণ, অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা। হাসপাতালে তো আর কোনও শারীরিক সমস্যা বা দুর্ঘটনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়নি মহিলাকে, যে জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চিকিৎসা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মনে হচ্ছে, তিনি আর এক জন শেখ শাহজাহান, বেতাজ বাতসা। ওই মহিলাকে চাপ দিয়ে ‘কম্প্রোমাইজ’ করাতে বাধ্য করেছিল। উনি গিয়েছিলেন। তাঁকে একা পেয়ে পিছন থেকে আটকে ধরা হয়।’’

National Commission of Women Paschim Medinipur BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy