লখনউয়ে রাজশঙ্কর দাস। —নিজস্ব চিত্র।
আন্তর্জাতিক মানের এক সম্মেলনে যোগ দিলেন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের শিক্ষক রাজশঙ্কর দাস। গত ৩-৫ ই ফেব্রুয়ারি লখনউতে ‘সিটি মন্টেসরি স্কুল’ আয়োজিত অষ্টম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ প্রি প্রাইমারি অ্যান্ড প্রাইমারি প্রিন্সিপ্যালস’-এ যোগ দেন তিনি। ওয়ার্ড ইউনিটি কনভেনশন সেন্টারে এই আলোচনাসভার বিষয় ছিল ‘দ্য টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি লার্নার’। একবিংশ শতাব্দীতে কচিকাঁচাদের নানা সমস্যা দূর করার পন্থা নিয়েই আলোচনা হয় সেখানে।
রাজশঙ্করবাবুর মতে, এখনকার সমাজে শিশু বয়সেই বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। তার উপর বেশিরভাগ পরিবারেই একমাত্র সন্তান বড় হওয়ায় তারা জেদি হচ্ছে। তাদের সঙ্গী শুধু টিভিতে কার্টুন, ভিডিও গেম, মোবাইল গেম, কম্পিউটার। মেদিনীপুরের এই শিক্ষকের মতে, ‘‘এই সবের আকর্ষণ থেকে কচিকাঁচাদের সরিয়ে আনতে ক্যুইজ খুব কার্যকর। এতে পড়াশোনার সঙ্গে সামাজিক ধ্যানধারণা তৈরি হবে, সাধারণ জ্ঞান বাড়বে।’’ তাই খেলনার বদলে শিশুদের হাতে নতুন বই দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তা ছাড়া, ইন্টারনেটেও নানা জিনিস জানা সম্ভব। লখনউয়ের আলোচনাসভায় ভারতের পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকা, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো বিভিন্ন দেশের শিক্ষক-শিক্ষাবিদদের সামনে এই ব্যাখ্যাই তুলে ধরেন রাজশঙ্করবাবু। তিনি বলেন, ‘‘দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩৩ জন উপস্থিত ছিলেন ওই সম্মেলনে। আমার ব্যাখ্যা সকলেরই পচ্ছন্দ হয়েছে। সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy