প্রথমে তেমন আগ্রহ ছিল না। তবে দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুয়ারে সরকারে ভিড় বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। গড়বেতা ১ ও গড়বেতা ২ (গোয়ালতোড়) ব্লকে উঠে আসছে এমনই ছবি।
সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে সেই প্রকল্পের নাম নিবন্ধীকরণ করা হচ্ছে। শুরুতে এই বিষয়ে সেভাবে প্রচার দেখা না গেলেও এখন ছবিটা বদলেছে। এই নিয়ে প্রচার করছে স্থানীয় প্রশাসন। অনেক পরিযায়ী শ্রমিক অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে আবেদনও করছেন।
গড়বেতা ১ ব্লকের সন্ধিপুর, কাদড়া উত্তরবিল, শ্যামনগর, খড়কুশমা অঞ্চলের অনেকে ভিন রাজ্যে কর্মরত। কেউ সোনার কাজ করেন। কেউ কারখানার শ্রমিকের। তাঁদের অনেকেই এলাকার শিবিরে যাচ্ছেন। সন্ধিপুরের গ্রামীণ হাটে বসা দুয়ারে সরকারে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক লাইন দিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কাদড়া উত্তরবিল পঞ্চায়েতের শিবিরেও ভিড় ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। গড়বেতা ২ (গোয়ালতোড়) ব্লকে নতুন এই প্রকল্পের কথা জানাতে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রচারও করা হচ্ছে। জোগারডাঙা অঞ্চলের সৌরভ দাস চেন্নাইয়ে কাজ করেন। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। পুজোর পর আবার ফিরে যাবেন তিনি। সৌরভ বলেন, "রাজ্যের এই প্রকল্প আমাদের মতো পরিযায়ী শ্রমিকদের খুব উপকার করবে। তাই প্রথমবারেই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করছি।"
একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করাতেও ভিড় বাড়ছে শিবিরগুলিতে। গড়বেতার একটি শিবিরে স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করাতে এসেছিলেন পেশায় দিনমজুর বিধান দোলই। তিনি বলেন, "কাগজপত্রে ভুল থাকায় আগের দু'বার আবেদন করেও হয়নি। এবারও সঠিকভাবে জমা দিচ্ছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা থাকলে চিকিৎসা খরচটা বাঁচবে।"
গড়বেতা ১ এর বিডিও শেখ ওয়াসিম রেজা বলেন, "সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে দুয়ারে সরকার শিবিরে বহু আবেদনপত্র জমা পড়ছে। স্বাস্থ্যসাথী, পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পেও ভিড় হচ্ছে।" গড়বেতা ২ বিডিও কৃষ্ণনির্মাল্য ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের ব্লকে এপর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)