দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল শালবনির সিজুয়ার এক কিশোর। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে জঙ্গলের মধ্যে মিলল তার ঝুলন্ত দেহ। সাহিল খান (১৬) নামে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিজনেরা ঘটনায় সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শালবনির ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোর মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছে। যদিও সাহিল আত্মহত্যা করেছে বলে মানতে নারাজ তার পরিবার। তাদের ধারণা, কেউ সাহিলকে খুনও করে থাকতে পারে।
সাহিলের বাড়ি সিজুয়ার জয়কৃষ্ণপুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাহিলই বড়। সে স্থানীয় গ্যারাজে কাজ করত। শনিবার মেলায় গিয়েছিল সে। রাত ন’টা পর্যন্ত তাকে মেলায় দেখাও গিয়েছিল। তবে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সাহিল। রবিবার দিনভর খুঁজেও কার হদিস পাননি পরিজনেরা ছিল। এ দিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন সিজুয়ার জঙ্গলে গিয়ে দেখেন, গাছে এক কিশোরের দেহ ঝুলছে। গলায় ফাঁস। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন।
পরিজনেরা জানিয়েছেন, সাহিল চুপচাপ ধরনের ছেলে ছিল। তবে যাদের সঙ্গে মেলামেশা করত, কথা বলত, তাদের সকলের সঙ্গেই তার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। তাই সাহিল কেন আত্যহত্যা করবে, ভেবে পাচ্ছেন না পরিজনেরা। সাহিলের জেঠতুতো দাদা মইদুল খান বলছিলেন, “ও আত্মহত্যা করার ছেলে নয়। পুলিশের উচিত, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত করা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy