Advertisement
E-Paper

ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লোপাট, জানেনই না বিধায়ক

উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি শুক্রবার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা অন্য একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বিধায়ক। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০০:৩৬

আম জনতার অজান্তেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হওয়ার বহু অভিযোগ হামেশাই সমানে আসে। এবার ওই ঘটনার শিকার হলেন খোদ বিধায়ক। উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি শুক্রবার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা অন্য একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বিধায়ক।

বনশ্রীদেবী জানিয়েছেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলকাতার হাইকোর্ট শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক থেকে বৃহস্পতিবার বনশ্রীদেবীর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজ দেখেই বনশ্রীদেবী জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। যা দেখা কার্যত হতবাক বিধায়ক।

শুক্রবার ছিল রাজ্যসভার ভোট। সেই জন্য কাঁথির বাসিন্দা বনশ্রীদেবী কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। বনশ্রীদেবীর বক্তব্য, ওই লেনদেনের ব্যাপারে তিনি কোনও কিছুই জানতেন না এবং তিনি নিজে কোনও সংস্থায় নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ করেননি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

গোটা ব্যাপারে বনশ্রীদেবী বলেন, “কয়েক বছর আগে কাঁথিতে একটি লগ্নিকারী সংস্থায় টাকা রেখেছিলাম। ওই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি সেই লগ্নিকারী সংস্থায় টাকা কাটা যেত। বর্তমানে লগ্নিকারী সংস্থায় নিয়োজিত টাকা ম্যাচিওর হয়েছে। সংস্থাটি ফের তাদের কাছে টাকা রাখার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। তারপরেও বৃহস্পতিবার কীভাবে টাকা ট্রান্সফার হল, তা বুঝতে পারছি না।’’ বিধায়কের কথায়, ‘‘আমি যে প্রতারিত হয়েছি, সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি।’’

অবশ্য এই মুহূর্তে বনশ্রীদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাঁথি ফিরে ওই লগ্নিকারী সংস্থায় যাব। বিশদে জানবেন। তারপর খোঁজ নেব টাকা ট্রান্সফারের পিছনে কাদের গাফিলতি রয়েছে।’’ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।

তবে এই ঘটনায় আম জনতার মনে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তাঁরা জানতে চান, একজন জন প্রতিনিধির অর্থ যদি এভাবে ‘নয়ছয়’ হয়, তো সাধারণ মানুষের কী হবে? একই প্রশ্ন বনশ্রীদেবীরও। তাঁর কথায়, ‘‘জন প্রতিনিধিই যখন প্রতারিত হচ্ছেন, সেখানে মানুষ কী করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উপরে ভরসা করবেন?’’

MLA Money Vanished Banashree Maity Money Transfer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy