Advertisement
E-Paper

ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনি

স্থানীয় সূত্রের খবর, বজবজিয়া  গ্রামে প্রচুর বাগদা এবং ভ্যানামেই চিংড়ির ফার্ম রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ফার্ম থেকে চিংড়ি চুরি হচ্ছিল। কিন্তু চোর কে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। তাই  গ্রামবাসীরা পালা করে পাহারার সিদ্ধান্ত নেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পূর্ব মেদিনীপুরে ফের গণপিটুনির ঘটনা! খেজুরির বজবজিয়া গ্রামে মাছ চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপ্রহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শম্ভু মাঝি নামে ওই ব্যক্তি হেড়িয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি নন্দীগ্রামের আমদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বজবজিয়া গ্রামে প্রচুর বাগদা এবং ভ্যানামেই চিংড়ির ফার্ম রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ফার্ম থেকে চিংড়ি চুরি হচ্ছিল। কিন্তু চোর কে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। তাই গ্রামবাসীরা পালা করে পাহারার সিদ্ধান্ত নেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোরে তিনটি মোটরবাইকে চেপে ছ’জন ওই এলাকায় আসে। তারা চিংড়ি ফার্মের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করায় গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ওই বাইক আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দাঁড়াতে বলেন। অভিযোগ, ওই বাইক আরোহীরা না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যান শম্ভু। অভিযোগ, এর পরেই মাছ চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে গ্রামবাসীরা গণপিটুনি দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, “ধরা পড়ার পরে জি়জ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি কোনও ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেনি। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছিলেন। এতেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।’’ খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নীলাঞ্জন মাইতির কথায়, ‘‘ঘটনার পর গ্রামবাসীরা ফোন করেছিলেন। আমি হেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশকে জানাই। পুলিশ ও স্থানীয়েরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে বলে শুনেছি।’’

যদিও প্রহৃত ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করেনি বলে জানিয়েছে হেড়িয়া পুলিশের দাবি। গোটা ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Lynching Theft Heria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy