Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হোম থেকে পালানো নাবালক উদ্ধার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দশেকের ওই নাবালকের বাড়ি কলকাতার এন্টালি এলাকায়।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মারিশদা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:২৩
Share: Save:

বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল দিঘায়। সেখানে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে বিচারকের নির্দেশে ঠাঁই হয়েছিল একটি আবাসিক হোমে। সেই হোম থেকেও ফের পালাল ওই নাবালক। তবে এবারও শেষে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগও উঠেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দশেকের ওই নাবালকের বাড়ি কলকাতার এন্টালি এলাকায়। গত ৬ অক্টোবর দিঘার রাস্তায় তাকে উদ্যোশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করেছিল পুলিশ। সে সময় ওই নাবালক জানিয়েছিল, তার দিঘা ঘুরতে আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আর্থিক সমস্যায় বাবা-মা তার ইচ্ছা পুরণ করতে পারেনি। তাই সে পালিয়ে দিঘা চলে এসেছিল।

ওই নাবালককে সে সময় কাঁথি আদালতের বিচারক দেশপ্রাণ ব্লকের একটি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত বুধবার ওই হোমে আবাসিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির চলছিল। অভিযোগ, সে সময় ওই কিশোর ফের পালিয়ে যায়। বাহিরী রাস্তা ধরে সে পৌঁছয় মারিশদাতে। সেখানে স্থানীয় লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় মারিশদা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় ওই কিশোরকে দুপুরে খাওয়ানো হয়। বিকেলে সে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টনও খেলে। তখনই পুলিশ জানতে পারে যে, সে হোম থেকে পালিয়ে এসেছে।

এরপর জেলার বিভিন্ন থানায় খবর পাঠানো হয়। তখনই দিঘা থানা থেকে ওই কিশোরের সম্পর্কে সব কিছু তথ্য সামনে আসে। নাবালক কোন হোমে থাকত, তা জানা যায়। মারিশদা থানার পুলিশ তার পরে যোগাযোগ করে ওই হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এক নাবালক আবাসিক নিখোঁজ হওয়ার পরেও তার ব্যাপারে পুলিশকে কিছু জানাননি কেন ওই হোম কর্তৃপক্ষ? এ ব্যাপারে হোমের সাধারণ সম্পাদক স্বপনকুমার পণ্ডা বলেন, ‘‘পুলিশ মারফত খবর পেয়ে ওই কিশোরকে আমরা ফেরত নিয়ে এসেছি। তবে গাফিলতির দিকটি আমরাও খতিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Monior Shelter Home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE