Advertisement
E-Paper

একই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মা ও তার তিন বছরের পুত্রের দেহ! ঝাড়গ্রামে জোড়া মৃত্যু ঘিরে রহস্য

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম শিবাণী দেহুরী (২৫)। সোমবার নিজের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে ঝুলছিল তাঁর বছর তিনেকের পুত্র আবিরের দেহও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:০৭
Mother and her sons body found in room in Jhargram, Police started investigation

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বন্ধ ঘরে একই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মা এবং তাঁর সাড়ে তিন বছরের পুত্রের দেহ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার তপসিয়া এলাকার পাইকআম্বী গ্রামে। পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা, না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম শিবাণী দেহুরী (২৫)। সোমবার নিজের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে ঝুলছিল তাঁর বছর তিনেকের পুত্র আবিরের দেহও। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিবাণীর স্বামী মৃত্যঞ্জয় ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন। অন্য দিনের মতোই সোমবার সকালে কাজে বেরিয়ে যান তিনি। ওই বাড়িতেই থাকতেন শিবাণীর দেওর, জা, শ্বশুর এবং শাশুড়ি। সকালে শ্বশুর-শাশুড়ি চাষের কাজে যান। দেওর বাড়ি ছিলেন না। সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে। অন্য দিনের মতো বেলা ১১টা নাগাদ শিবাণী তাঁর পুত্রকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সবাই ভেবেছিলেন, শিবাণী হয়তো তাঁর পুত্রকে ঘুম পাড়াচ্ছেন। তাই কেউ মাথা ঘামাননি।

তবে দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরেও শিবাণী ঘরের দরজা না-খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ মেলে না শিবাণীর। তার পরেই দরজা ভেঙে সকলে ঘরের মধ্যে ঢোকেন। ভিতরে ঢুকে দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে শিবাণী এবং আবিরের দেহ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ। তারা দেহ দু’টি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবাণীদের পরিবার আর্থিক ভাবে মোটামুটি স্বচ্ছল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোনও সমস্যাও ছিল না। তাই অশান্তির কারণে আত্মহত্যার তত্ত্বও মানতে নারাজ পরিবার। অনুমান, আবিরকে ঘুম পাড়ানোর সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় তার। সেই শোকে নিজেও আত্মঘাতী হন শিবাণী। তবে মা-পুত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলের মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘একই জায়গা থেকে মা ও তাঁর সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Death Case Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy