পুজোয় শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিল মেদিনীপুর পুরসভা। পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদেরও যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে রাস্তার ধারে পানীয় জলের ব্যবস্থা, আলো ঠিক রয়েছে কিনা, তা দেখতেও চলবে নজরদারি।
মেদিনীপুর শহরকে চারিদিক থেকে ঘিরে রয়েছে রিং রোড। এই রাস্তা কালেক্টরেট মোড় থেকে শুরু হয়ে কেরানিতলা, বটতলাচক, গোলকুয়াচক, পঞ্চুরচক, এলআইসিচক হয়ে কালেক্টরেটে এসে মিশেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রিং রোড পরিষ্কার রাখতে অতিরিক্ত ৪০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় তাঁরা দিনভর রাস্তা পরিষ্কার রাখার কাজ করবেন। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “যেহেতু এটি শহরের প্রধান রাস্তা তাই পুজোর পরেও রাস্তাটি পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।” পুজোর ক’দিন প্রধান রাস্তার পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকবে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। পুজোর সময় যাতে কোনও রাস্তা অন্ধকার না থাকে সে জন্য আলো লাগানোর কাজ চলছে জোরকদমে। খন্দপথের সংস্কারে ওয়ার্ড প্রতি দেড় লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রাতেও আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে বিশেষ দল। পুজো দেখতে এসে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলেও পুরসভা প্রাথমিক চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জামও তৈরি রাখছে। থাকছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সে জন্যও তৈরি রয়েছে প্রশাসন। দু’টি নৌকো ও ডুবুরি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। নৌকোয় থাকবে আলোর ব্যবস্থা। কেউ জলে পড়ে গেলে উদ্ধারের সরঞ্জামও রয়েছে। তারই সঙ্গে সহজে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে রাখা হবে যন্ত্র। প্রতিমা বিসর্জনের পর তা থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায় সে জন্য দ্রুত আবর্জনা তুলতেও ব্যবস্থা রাখা হবে বলে উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পুজোর শুরু থেকে মহরম ও বিসর্জন- প্রতিটি দিন যাতে নির্বিঘ্নে কাটে তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy