Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমির খোঁজ পুরসভার

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর পরিবহণ মন্ত্রীর নির্দেশ। আর তারপরই শহরে বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য জমি খোঁজা শুরু করল ক্ষীরপাই পুরসভা। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষীরপাই শহরে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা।

এখানেই হবে বাসস্ট্যান্ড।ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

এখানেই হবে বাসস্ট্যান্ড।ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

অভিজিৎ চক্রবর্তী
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৬
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর পরিবহণ মন্ত্রীর নির্দেশ। আর তারপরই শহরে বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য জমি খোঁজা শুরু করল ক্ষীরপাই পুরসভা। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষীরপাই শহরে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, জমি ও আর্থিক সঙ্কটের অজুহাত দিয়েই এতদিন বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে উদ্যোগী হয়নি পুরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতি। এ বার পুর বাসিন্দাদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন, “স্থানীয় বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের উদ্যোগেই পূর্ত দফতরের একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমির কাগজপত্র-সহ সমস্ত নথি চলতি সপ্তাহেই পরিবহণ দফতরে জমা দেওয়া হবে।’’

চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের সদর শহর ক্ষীরপাই। এই জনপদে বিডিও অফিস-সহ ব্লক স্তরের সমস্ত অফিস রয়েছে। এছাড়াও ক্ষীরপাই শহরের উপর দিয়ে গিয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই-আরমবাগ এই দু’টি সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক বাস চলাচল করে। শহরেই চারটি বাসস্ট্যান্ডও রয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড়শো বছরের পুরানো এই পুর-শহরে এখনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠেনি। ফলে বাস ধরার জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় খোলা আকাশের নিচেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগে স্থানীয় বিধায়ক ছায়া দোলইকে শুধু ক্ষীরপাই শহরের বাসিন্দারাই নয়, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের নাগরিকরাও আধুনিক বাসস্ট্যান্ড তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন। ভোট মিটতে ছায়া দোলই বিষয়টি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানান। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশও দেন। ছায়া দোলই বলেন, “ঝাড়গ্রামেই শুভেন্দুবাবু আমাকে কথা দিয়েছিলেন জমি ঠিক করলেই একটি আধুনিক বাসস্ট্যান্ডের জন্য টাকা মঞ্জুর করে দেবেন। গত শুক্রবার শুভেন্দুবাবু নিজে উদ্যোগী হয়ে আমাকে জমির বিষয়ে
খোঁজ নেন।”

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ক্ষীরপাই শহরের হালদার দিঘি সংলগ্ন কালী মন্দিরের কাছাকাছি একটি পূর্ত দফতরের জমিটি দেখা হয়েছে। বহুদিন আগে থেকেই ওই জমিটি অধিগ্রহণের জন্য পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর পরই শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম ওই জায়গায় শুরু হবে ক্ষীরপাই কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের কাজ। সঙ্গে থাকবে সুলভ শৌচাগার, যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের ব্যবস্থাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

municipality bus stop
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE