গবেষণায় উৎসাহ দিতে নয়া কোর্স চালু করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ‘ইন্টিগ্রেটেড এমফিল-পিএইচডি কোর্স প্রোগ্রাম’ নামে ওই কোর্সের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল মঙ্গলবার। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামল রায়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক জয়ন্তকিশোর নন্দী প্রমুখ।
বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের এই কোর্সটি পাঁচ বছরের। বোটানি, জুওলজি, মাইক্রো বায়োলজি প্রভৃতি বিষয়ের পড়ুয়ারাও এই প্রোগ্রামের অধীনে আসতে পারবেন। কোর্সটি পাঁচ বছরের। একবারই প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথম দু’বছর এমফিল, পরের তিন বছর পিএইচডি-র জন্য। পড়ুয়ারা চাইলে এমফিল করার পরে সার্টিফিকেট নিয়ে কোর্স থেকে বেরোতে পারেন। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, “এই কোর্স প্রোগ্রাম গবেষণায় উৎসাহ দেবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, নতুন এই কোর্স প্রোগ্রামটি উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মস্তিষ্কপ্রসূত। রঞ্জনবাবুই প্রথম প্রস্তাব দেন। পরে সেই প্রস্তাব মঞ্জুর হয়। নতুন এই প্রোগ্রামের ফলে কী কী সুবিধা হবে পড়ুয়াদের? প্রথমত, দু’টো ডিগ্রির জন্য দু’বার প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে না। একবারই প্রবেশিকা দিতে হবে। নানাস্তরে সিলেবাসের পুনরাবৃত্তিও এড়ানো যাবে। ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ অর্থাৎ নানা বিষয়ের সংযোগে গবেষণা করার সুযোগ বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কথায়, “এই কোর্স প্রোগ্রামের আরেকটি সুবিধা হল একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এমফিল, পিএইচডি করার সুযোগ থাকছে।” কোর্সের সময়সীমা আগামী দিনে পাঁচ থেকে কমিয়ে চার বছর করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সময়ও বাঁচবে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক জয়ন্তকিশোর নন্দী জানান, আপাতত বায়োলজিক্যাল সায়েন্স নিয়ে এই কোর্স চালু হল। আগামী দিনে ফিজিক্যাল সায়েন্স নিয়েও এই রকম ‘ইন্টিগ্রেটেড এমফিল- পিএইচডি কোর্স প্রোগ্রাম’ চালু হতে পারে। এটা ভাবনার মধ্যে রয়েছে। কিংবা বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এবং ফিজিক্যাল সায়েন্স- দু’টোকেই এক প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে। এই প্রোগ্রামে ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রি, ম্যাথমেটিক্সের মতো বিষয়গুলোকেও নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামল রায়। এ দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েও তিনি এই মতপ্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy