বিশ্বকর্মা পুজোর চাঁদা আদায় করতে গিয়ে শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূল প্রধানের ছেলেসহ মোট নয়জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে ও সোমবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে চারজন মহিলাও রয়েছেন। সোমবার ধৃতদের মধ্যে সাতজনকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে চাঁদার জুলুমবাজি ও মারধরের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভেড়ির মালিক ও শ্রমিকরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করে বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন থেকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত খোদামবাড়ি বড়পুল লোডিং আনলোডিং ইউনিয়ন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য চাঁদা আদায় করছিল। রবিবার সকালে নরঘাটের জনা চল্লিশেক ভেড়ি শ্রমিক লরিতে চেপে নন্দীগ্রামে কাজে যাচ্ছিলেন। ওই সময় রেয়াপাড়ায় আইএনটিটিইউসির ইউনিয়নের লোকজন বিশ্বকর্মা পুজোর চাঁদা চায়। চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে ওই লরি চালককে ও শ্রমিকদের নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভেড়ির ম্যানেজারদের একটি ট্রেকার ভাঙচুর করার পাশাপাশি ৪ লক্ষ ৬৫হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে।
ওই সময় আক্রান্ত ভেড়ি শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে চাঁদা আদায়কারীরা দ্বিতীয়বার হামলা চালায়। এমনকি চাঁদা আদায়কারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে দুজন পুলিশ কর্মী জখম হন। ওই ঘটনায় রবিবার বিকালে নন্দীগ্রাম ২ব্লকের খোদামবাড়ি ১গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের পুষ্পরাণি মণ্ডলসহ ১৪জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy