Advertisement
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফস্কে গেল ট্রেন, ঘোষণা নিয়ে নালিশ যাত্রীদের

খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে ভরসা ঘোষণাই। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘোষণা না হওয়ায় মঙ্গলবার হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠতে পারেননি তাঁরা। যদিও ঘোষণা না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি স্টেশন ম্যানেজার ডিকে পট্টনায়েক।

— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫১
Share: Save:

একটা মাত্র ডিসপ্লে বোর্ড। সাঁতরাগাছি স্টেশনের ঘটনার পর ফুটব্রিজে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে ভরসা ঘোষণাই। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘোষণা না হওয়ায় মঙ্গলবার হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠতে পারেননি তাঁরা। যদিও ঘোষণা না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি স্টেশন ম্যানেজার ডিকে পট্টনায়েক।

হাওড়া থেকে ছাড়ে ওড়িশাগামী বরবিলগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। সাধারণত খড়্গপুরের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে তা ছেড়ে যায় সকাল ৮টা ২মিনিটে। তাই এ দিন সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘোষণা না হওয়ায় অনেকেই সাবওয়ের কাছে একমাত্র ডিসপ্লে বোর্ড দেখতে গিয়েছিলেন। অনেকে আবার গিয়েছিলেন, কন্ট্রোল রুমে খোঁজখবর করতে। সকলে জানতে পারেন, সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ২ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে বরবিলগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। সংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটেও ওই ট্রেনে উঠতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন যাত্রীরা। তবে ওই ট্রেনের মিনিট পনেরো পরেই হাওড়া-তিতলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস থাকায় সেই ট্রেনে উঠে পড়েন জনশতাব্দীর যাত্রীরা। অবশ্য এই ঘটনার জেরে সংরক্ষিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও ইস্পাত এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় দাঁড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে বলে দাবি যাত্রীদের।

এগরার বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী বিকাশচন্দ্র বেরা বলেন, “আগে থেকে চাঁইবাসা যাওয়ার জন্য সংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটেছিলাম। সেই মতো খড়্গপুরে অনেক আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘোষণা না হওয়ায় ট্রেন স্টেশনে কখন এসেছে-গিয়েছে বুঝিনি। পরে ইস্পাত এক্সপ্রেস পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে উঠেছিলাম। পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে।” ঘাটালের গৌড়ার বাসিন্দা সোনার কারিগর অরূপ প্রামাণিক বলেন, “টাটানগর যাওয়ার জন্য সংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটে ইস্পাতের সাধারণ কামরায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জনশতাব্দী কখন খড়্গপুরে এসেছে ঘোষণা না হওয়ায় জানতেই পারিনি।” খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেব।”

শেষ মুহূর্তের ঘোষণায় হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল সাঁতরাগাছি স্টেশনে। সঙ্কীর্ণ ফুটব্রিজে মৃত্যু হয়েছিল যাত্রীদের। ওই ঘটনার পর ফুটব্রিজে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেয় না রেল পুলিশ। সবসময় সাবওয়ের কাছে গিয়ে ডিসপ্লে বোর্ড দেখা সম্ভব নয়। কারণ, বহু ক্ষেত্রে ওই ডিসপ্লে বোর্ড দেখতে গিয়ে হাতছাড়া হয় ট্রেন। ফলে সঠিক সময়ে ট্রেন ধরতে যাত্রীদের ভরসা ঘোষণাই। যাত্রীদের অভিযোগ, মাঝেমাঝে ঘোষণায় গোলমাল হয়। মাঝে মাঝে ঘোষণাই হয় না। যেমনটা হল এ দিন। ফল, একটি ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের টিকিট হাতে নিয়ে অন্য ট্রেনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোনওরকমে গন্তব্যে পৌঁছনো।

অন্য বিষয়গুলি:

Kharagpur Railway Station Kharagpur Trains Passenger
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy