Advertisement
E-Paper

যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই, বাসের অপেক্ষা পথেই

নতুন রাস্তা হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। কিন্তু বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। গড়বেতার প্রায় কোনও বাসস্টপেই শেড নেই। অগত্যা খোলা আকাশের নীচেই অপেক্ষা।

সুমন ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩৪
রোদ মাথায় অপেক্ষা। গড়বেতায়। নিজস্ব িচত্র।

রোদ মাথায় অপেক্ষা। গড়বেতায়। নিজস্ব িচত্র।

নতুন রাস্তা হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। কিন্তু বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। গড়বেতার প্রায় কোনও বাসস্টপেই শেড নেই। অগত্যা খোলা আকাশের নীচেই অপেক্ষা।

গড়বেতার ঢোকার মুখেই পড়ে কিয়াবনি বাসস্টপ। সেখানে শুধু কিয়াবনি নয়, বেনাশুলি, মাগুরাশোল, তাঁতিচুয়া, কেশিয়া, করমশোল, উত্তর কিয়াবনি-সহ ১০-১২টি গ্রামের মানুষ বাস ধরতে আসেন। চড়া রোদ হোক বা আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, রাস্তায় দাঁড়িয়েই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। হঠাৎ বৃষ্টি হলে দৌড়ঝাঁপ করে যাত্রীরা গিয়ে ঢোকেন রাস্তার পাশের দোকানে। সেখানে ভিড় জমলে দাঁড়াতে সমস্যা হয়। বিরক্ত হন দোকান মালিকও। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন মহিলা ও কচিকাঁচারা। কেশিয়ার পার্বতী মুর্মু, মাগুরাশোলের লক্ষণ রায়রা বলছিলেন, ‘‘যে সব বাসস্টপের উপর একাধিক গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল সেখানে প্রতীক্ষালয় না থাকলে ভীষণ সমস্যা হয়। রোদ-বৃষ্টি না হলেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। প্রতীক্ষালয় থাকলে তা-ও একটু বসা যায়।’’

শুধু কিয়াবনি নয়, ময়ারকাটা, বাদামবাগান, ধাদিকা, মাইতা-সহ গড়বেতায় এমন অনেক বাসস্টপ রয়েছে, যেখানে ১০-১৫টি বা তারও বেশি গ্রামের মানুষ বাস ধরতে আসেন। যেমন ময়রাকাটার বাসস্টপের উপর চাঁদাবিলা, পাথরিশোল, লাপুড়িয়া এমনকী খড়কুশমা এলাকার মানুষও নির্ভরশীল। কেউ আর গড়বেতা বাসস্ট্যান্ডে যান না। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাপ মণ্ডলের কথায়, ‘‘এ রকম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় খুব জরুরি। বিষয়টি কারও অজানা নয়। তবু স্থানীয় পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখছি না।’’

যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সুফল মেলেনি। যদিও সম্প্রতি বিধায়ক তহবিল থেকে ৪টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ার প্রস্তাব এসেছে বলে গড়বেতা ১-এর বিডিও বিমলকুমার শর্মা জানিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ময়রাকাটা, ধাদিকা, মাইতা ও বাদামবাগান— চারটি বাসস্টপে প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য ২ লক্ষ করে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিডিও-র আশ্বাস, “প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। চলতি বছরেই নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।’’ আর গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য,‘‘আগের বাম বিধায়ক এ বিষয়ে উদ্যোগী হননি বলেই মানুষ বঞ্চিত থেকেছে। এ বার ধাপে ধাপে সমস্যা মেটানো হবে।’’

Bus stand Passenger
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy