জেলা নেতাদের অনেকেই এ বার ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগে তৃণমূলের অন্দরে জোর গুঞ্জন ছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের জেলা নেতৃত্বে এ বার রদবদল হবে। তা অবশ্য হয়নি। সোমবার নারায়ণগড়ের সভা শেষে মমতা ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী জেলা নেতাদের সঙ্গে দু’-চার কথা বললেও কোনও রদবদল ঘটাননি। রাতে ঝাড়গ্রামে থাকার সময় জেলা নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেননি।
তাহলে কি আপাতত জেলা স্তরে রদবদল হচ্ছে না? এ নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের অনুগামীরা চান দীনেনবাবুই সভাপতি থাকুন। আর তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী চায়, সভাপতি বদল হোক। দু’পক্ষই ঘন ঘন পরিচিত নেতা-নেত্রীদের ফোন করে জানার চেষ্টা করছেন, কোনও বদল হল কিনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে আপাতত বদল ঘটছে না। ২১ জুলাইয়ের পরে রদবদল হতে পারে। তার আগে জেলা সভাপতি বা অন্য সাংগঠনিক পদে যাঁরা যেমন রয়েছেন, তেমনই থাকবেন। এ ব্যাপারে জেলা সভাপতি দীনেনবাবু বলেন, “দলে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। চলতি মাসের ১৮ তারিখ কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানে কারা যাবে, কী ভাবে যাবে তা নিয়েই সোমবার সভা শেষে আলোচনা হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে অবশ্য একটা রদবদল হচ্ছে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হতে চলেছেন জেলা পরিষদের দলনেতা অজিত মাইতি। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ক্ষমানন্দ মাহাতো দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় কাজ সামলাতে পারছেন না। সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। নারায়ণগড়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েছিলেন সভাধিপতি ও অন্য কর্মাধ্যক্ষরা। মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দেন। নিয়মমতো কর্মাধ্যক্ষের বদলের ক্ষেত্রে একজনকে ইস্তফা দিতে হবে। তারপর নিয়ম মেনে বৈঠক ডেকে অন্যকে কর্মাধ্যক্ষ করতে হবে। শীঘ্রই সেই প্রক্রিয়া হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। সভাধিপতি উত্তরাদেবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই আমরা পদক্ষেপ করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy