Advertisement
০৩ মে ২০২৪
মাদপুরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

ফুটব্রিজ নেই, রেললাইন পেরিয়েই ঝুঁকির যাতায়াত

ফুটব্রিজের সম্প্রসারণ হয়নি। লাইন পেরিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাও়ড়া-খড়্গপুর শাখার মাদপুর স্টেশনে দুর্ঘটনাও ঘটছে আকছার।

মালগাড়ির তলা দিয়ে এ ভাবেই চলে লাইন পারাপার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

মালগাড়ির তলা দিয়ে এ ভাবেই চলে লাইন পারাপার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

ফুটব্রিজের সম্প্রসারণ হয়নি। লাইন পেরিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাও়ড়া-খড়্গপুর শাখার মাদপুর স্টেশনে দুর্ঘটনাও ঘটছে আকছার।

মাদপুর স্টেশনে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এক থেকে দুই, তিন, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার ফুটব্রিজ রয়েছে। যদিও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে স্টেশনের বাইরে বেরনোর জন্য ফুটব্রিজ সম্প্রসারণ হয়নি। ফলে উত্তর অংশের রেল যাত্রীদের লাইন পেরিয়েই স্টেশনে আসতে হয়। স্টেশনের একমাত্র টিকিট কাউন্টারও রয়েছে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ফলে উত্তর দিকের লোকেদের টিকিট কাটতেও দুর্ভোগে পড়তে হয়।

মাদপুর স্টেশনের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাজার। ব্লক অফিস রয়েছে স্টেশনের উত্তর দিকে। আগে স্টেশনের পূর্ব দিকে থাকা রেলগেট পেরিয়েই স্থানীয়রা যাতায়াত করতেন। পরবর্তী কালে ওই রেলগেট বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। এখন রেললাইন পেরোতে ভরসা স্টেশনের পশ্চিম দিকের গেট। যদিও রেলগেট দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে অতিরিক্ত দেড় কিলোমিটার পথ পেরোতে হয়। তাই স্টেশনের উত্তর অংশের অধিকাংশ বাসিন্দা লাইন পেরিয়েই যাতায়াত করেন।

পঞ্চম লাইনে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে ভোগান্তি বাড়ে। স্থানীয় কৃষ্ণচরণপুরের বাসিন্দা মুসু কিস্কু বলেন, “এলাকার অনেক লোক ট্রেনে যাতায়ত করেন। অথচ রেল কর্তৃপক্ষ পঞ্চম লাইন তৈরির পর ফুটব্রিজ সম্প্রসারণ না করায় সমস্যা হচ্ছে।’’ মাদপুর স্টেশন দিয়ে দিনে কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ফুটব্রিজ সম্প্রসারণ না হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনাও। ২০১৫ সালের জুন মাসে লাইন পার হওয়ার সময় আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক আধিকারিক (মেদিনীপুর) লিয়াকত আলির।

সমস্যার কথা মানছেন মাদপুরের স্টেশন মাস্টার বিশ্বজিৎ মল্লিকও। তিনি বলেন, “যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে এটা ঠিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।’’ এ বিষয়ে খড়্গপুরের এডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ এখনও কোনও অভিযোগ করেনি। খোঁজ নিয়ে দেখব কী করা যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Railway tracks Footbridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE