ঝাড়গ্রামে দোলা সেন।
শিল্প সংস্থায় দলের ট্রেড ইউনিয়ন একটিই থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর পথেই আইএনটিটিইউসি-র নেত্রী দোলা সেন ঝাড়গ্রামে এসে জানিয়ে দিলেন, দলের শ্রমিক সংগঠনে কোনও রকম গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবে না। রবিবার ঝাড়গ্রামের একটি কাগজ কলে দলের শ্রমিক সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে এসে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই দোলাদেবী এই বার্তা দেন। বস্ততপক্ষে, ঝাড়গ্রামের ইউনিগ্লোবাল পেপার মিলে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি ইউনিয়ন রয়েছে। দু’টি সংগঠনের আলাদা আলাদা রেজিস্ট্রেশন নম্বরও রয়েছে। একটি সংগঠনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের অনুগামীরা রয়েছেন। অন্য সংগঠনটির সভাপতি হলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই কারখানায় শাসক দলের দু’টি ইউনিয়নের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। এমনকী দু’টি ইউনিয়নই শনিবার পৃথকভাবে সম্মেলনের আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছিল। দীনেনবাবুর অনুগামীদের সম্মেলনে দোলাদেবী যোগ দেবেন বলে শনিবার রাতে খবর পায় পুলিশ। এরপরই তড়িঘড়ি পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুর্গেশবাবুদের ইউনিয়নের সম্মেলনটি বাতিল করা হয়।
রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ সম্মলনে যোগ দেন দোলাদেবী। মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি দীনেন রায়, তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি প্রশান্ত রায় প্রমুখ। দোলাদেবীর নির্দেশে মঞ্চে কিছুক্ষণ ঝুমুর গান হয়। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ বক্তৃতা শুরু করেন দোলাদেবী। সকাল থেকে দুর্গেশবাবুর অনুগামীদের সম্মেলন মঞ্চের ধারে পাশে দেখা যায় নি। তবে দোলাদেবীর বক্তৃতা চলাকালীন সম্মেলন মঞ্চে আসেন দুর্গেশবাবু। দুর্গেশবাবুকে মঞ্চে উঠতে দেখে দোলাদেবী কিছুটা চড়া সুরে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, কারখানা ও শিল্প সংস্থায় তৃণমূলের একটাই ট্রেড ইউনিয়ন থাকবে। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হবে। আমি শুনেছি, এই পেপার মিলে আরও কোনও কোনও বন্ধু ট্রেড ইউনিয়ন করতে চান। আমি অনুরোধ করে বলছি, ২০১১ সাল থেকে এই কাগজ কলে আইএনটিটিইউসি-র ২৭৯৪১ রেজিস্টেশন নম্বরে যে ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে, তাতে সবার জন্য দরজা খোলা রয়েছে। এখানে দীনেন দা-র নেতৃত্বে যে ট্রেড ইউনিয়ন চলছে তাতে আপনারা সকলে স্বাগত। দয়া করে পাল্টা সংগঠন করে নেত্রীর অসম্মান করবেন না।”
এদিন দুর্গেশবাবু অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। মন্তব্য করেন নি দীনেনবাবুও। দুর্গেশবাবুর ইউনিয়নটির কার্যকরী সভাপতি গৌরাঙ্গ প্রধান বলেন, “আমদের সংগঠনটিই সবচেয়ে পুরনো। এদিন আমাদের সম্মেলটি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। পুলিশ-প্রশাসনের অনুরোধে আমরা সম্মেলনটি বাতিল করেছি। ওই সংগঠনটি চক্রান্ত করে দোলাদেবীকে নিয়ে এদিন সম্মেলন করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy