Advertisement
E-Paper

শুধু করোনা চিকিৎসা, অন্য পরিষেবা বন্ধ, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটিতে বিক্ষোভ

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হয়েছিল করোনা চিকিৎসা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১ ০৮:০৯
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

ভাইরাস সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এই হাসপাতাল পুরোপুরি করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হলে পাঁশকুড়া এবং কোলাঘাট ব্লক এলাকার অন্য রোগীদের চিকিৎসার কী হবে, সেই প্রশ্নে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। যা দেখে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য, তমলুক জেলা হাসপাতাল তো রইয়েছে!

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হয়েছিল করোনা চিকিৎসা। ওই হাসপাতালের পরিষেবায় সন্তুষ্ট ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’র প্রতিনিধিরাও। কিন্তু প্রথম দফার সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার বড়মায় মাত্র ১০টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ ছিল।

চলতি মাস থেকেই জেলায় ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে কোলাঘাট ব্লক। এমন আভহে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তুলতে বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা শুরু হবে। প্রসূতি বিভাগ ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হবে হাসপাতালের অন্য বিভাগগুলি।

এই খবর সামনে আসার পর এ দিন পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন। তাঁদের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা বড় অংশের মানুষ পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। অন্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল খান বলেন, ‘‘এখানে কোভিড চিকিৎসা শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের অন্য পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের আর্জি, কোভিড চিকিৎসা হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু হাসপাতালের অন্যান্য পরিষেবা যেন বন্ধ করা না হয়।’’ এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলছেন, ‘‘প্রসূতি বিভাগ ছাড়া পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটিতে আর কোনও বিভাগ থাকবে না ঠিকই। কিন্তু অন্য চিকিৎসার জন্য তমলুক জেলা হাসপাতাল তো রয়েছে।’’

কিন্তু বড়মাকে কেন আগের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, বড়মাকে পুরোদমে করোনা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করলে তো পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, মেচেদা, এলাকার আক্রান্তদের চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশালিটি করোনা হাসপাতালে পাঠাতে হবে না। পাশাপাশি, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটির অন্য বিভাগও বন্ধ করতে হবে না।

বড়মা হাসপাতালের কর্নাধার আফজল শা এক সময় তৃণমূলে থাকলেও বর্তমানে বিজেপিতে। স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, বড়মাকে ব্যবহার না করার পিছনে কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক কাজ করছে না তো! যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় সাফ বলছেন, ‘‘বড়মা বেসরকারি হাসপাতাল। তাই সরকারকে সেটির জন্য ভাড়া গুণতে হয়। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা হলে সরকারকে ভাড়া গুণতে হবে না। তাই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে গড়ে চিকিৎসা শুরু করব।’’

midnapore COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy