গনগনির প্রবেশপথে লাগানো হয়েছে এই বোর্ড। নিজস্ব চিত্র
নিসর্গের টানে ভ্রমণপিপাপসুদের বরাবরের প্রিয় ঠিকানা গনগনি। গড়বেতার এই এলাকাকে পুরোদস্তুর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই সূত্রেই জোর দেওয়া হয়েছে পরিবেশ দূষণ রোধে।
গনগনির পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়, সে জন্য কড়া হচ্ছে গড়বেতা ১ ব্লক প্রশাসন। শীতের আমেজ পড়তেই পিকনিক পার্টির ভিড় জমতে শুরু হয়েছে। পর্যটকেরাও আসছেন দলেদলে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি প্রতি বারই জমজমাট থাকে গনগনি। এই সময় ভিড়ের যাতে গনগনির পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে জন্য সতর্ক ব্লক প্রশাসন। চড়ুইভাতির ক্ষেত্রে থার্মোকল ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। তারস্বরে মাইক বাজিয়ে নাচ-গানও চলে। সে সব বন্ধে গনগনির প্রবেশপথেই নোটিস ঝোলানো হয়েছে। তাতে সকলের জন্য বার্তা— পরিবেশ দূষণকারী থার্মোকল একেবারেই নিষিদ্ধ এখানে। এই নিষেধ অমান্য করে থার্মোকল ব্যবহার করলে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিসে।
গতবছর থেকেই গনগনিতে ডিজে বা তারস্বরে মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবুও নজরদারি এড়িয়ে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠেছিল। এ বার তাই এই নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া ভাবে কার্যকর করা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসনসূত্রে জানা গিয়েছে। যত্রতত্র নোংরা-আবর্জনা ফেলা, মদ্যপ অবস্থায় অশালীন আচরণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গড়বেতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘গনগনির পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়, সে জন্য থার্মোকল ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনও রকম সাউন্ড সিস্টেম।’’ যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর জানালেন, গনগনিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। তাই থার্মোকল, সাউন্ড সিস্টেম নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বলবতে থাকছে নজরদারিও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গনগনিতে যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য থাকছে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা, মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার। গড়বেতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বাজপেয়ী বলেন, ‘‘পর্যটকেরা গনগনিতে গিয়ে যাতে কোনওরকম অসুবিধায় না পড়েন সে জন্য রাখা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy