তন্ত্রসাধনার নামে ‘গুরুজি’ একাধিক বার ‘অশ্লীল আচরণ’ করেছেন। সে জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার এক পরিবারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তন্ত্রসাধনা করেন এবং অনেকের তিনি ‘দীক্ষাগুরু’ বলে খবর। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। গোটা ঘটনায় শোরগোল ডেবরা থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মঘাতী মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে ভিন্রাজ্যে থাকতেন। সেই সুযোগে তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু অভিযুক্তের। যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর বেশ কিছু অসুখ ছিল। সেই সব অসুখ ঠিক করে দেওয়া এবং দীক্ষা দেওয়ার নাম করে স্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার ‘অশ্লীল আচরণ’ করেন অভিযুক্ত। ‘গুরুজি’র কাণ্ডে প্রথম প্রথম অপ্রস্তুত হয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি বধূ। দিন কয়েক আগে কেশপুরে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বধূ। সেখানেই তিনি আত্মঘাতী হন। লজ্জা, অপমানেই নিজেকে শেষ করে দেন বলে অভিযোগ।
মৃতার পরিবার থানায় গিয়ে ওই ‘গুরুজি’র নামে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে ডেবরার পাটনা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ৪৮ বছরের অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়েছিল মেদিনীপুর আদালতে। বিচারক তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:
মৃতার স্বামীর অভিযোগ, ‘‘ওই ব্যক্তি ভণ্ডামি করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে বার বার অশ্লীল কাজ করেছে। তার জেরেই ও আত্মহত্যা করেছে।’’ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, অভিযুক্তের দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। আদালতে যাওয়ার সময় ওই ‘গুরুজি’ বলেন, ‘‘এখন আমি যা বলব, কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি নির্দোষ।’’