ব্যাগে জামাকাপড়ের সঙ্গে বন্দুক এবং কার্তুজ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের মোথাবাড়ি এলাকার এক যুবক। দিঘা থেকে যান মন্দারমণি। সেখানেই সমুদ্র সৈকতে মদ্যপানের আসরে নিজের ‘কীর্তি’ ফাঁস করেই বিপাকে পড়েন কৌশিক রায় নামে ওই যুবক। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মন্দারমণই থানার পুলিশ হোটেল থেকে ওই যুবককে পাকড়াও করে।
ধৃত যুবক কৌশিক পেশায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে একটি ৯এমএম পিস্তল এবং ১২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁর ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ৩৭ বছরের কৌশিক তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে যান। সেখানে একটা রাত্রি কাটিয়ে রবিবার তাঁরা মন্দারমণি গিয়ে একটি হোটেলে ওঠেন। ওই দিন রাতে সমুদ্র সৈকতে ওই যুবক নিজের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে তাঁর কাছে থাকা বন্দুকের বিষয়ে জানান। ঘটনাক্রমে এই কথাটি জানতে পারে পুলিশ।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই হোটেলে যায়। এর পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তাঁর থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে। সোমবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক জেরায় জানিয়েছেন, সম্প্রতি মোথাবাড়ি এলাকায় যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার পর থেকে পরিবারের ও নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে বেআইনি ভাবে এই বন্দুক এবং কার্তুজ কিনেছিলেন তিনি। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, বন্দুক কেনার বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানতেন না।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনার পরে আরও কড়া হবে নজরদারি। হোটেলে আসা পর্যটকদের সম্পর্কে তারা পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করছে কি না, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। যে সব হোটেল পুলিশের নির্দেশ মেনে চলছে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে হোটেল থেকে কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হবে, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নজরে এলে প্রয়োজনে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’