মশা-মারতে: সাফাই লক্ষ্মীবাড়ি গ্রামে।
ডেঙ্গি কবলিত ব্লকে দিন তিনেকের ব্যবধানে জ্বরে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলা-সহ দু’জনের। সপ্তাহ ঘুরতেই ফের জ্বরে মৃত্যু হল পিলার এক প্রৌঢ়ার।
শনিবার গভীর রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত্যু হয়েছে আশা বারিকের (৫৯)। তাঁর বাড়ি পিংলার লক্ষ্মীবাড়ি গ্রামে। গত ১৬ অগস্ট থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। গত ১৭অগস্ট দেরি না করে ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেন পরিজনেরা। সেখানে দেখা যায়, ২৩ হাজারে নেমে গিয়েছে প্লেটলেট। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ১৮অগস্ট ‘রেফার’ করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। সেখানে পরীক্ষায় দেখা যায় ১লক্ষ ৮০ হাজারে পৌঁছেছে প্লেটলেট। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ার।
রবিবার মৃতার ছেলে নীলাঞ্জন বারিক বলেন, “সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর প্লেটলেট পরীক্ষার দু’টি রিপোর্টে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হতে পারে?” বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “প্লেটলেট রিপোর্টের এমন পার্থক্য আমাদেরও ভাবাচ্ছে। তবে জ্বরে আক্রান্ত প্রৌঢ়ার কোনও সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।”
আশাদেবী
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দশ দিনে পিংলা ব্লকে এই নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হল। সকলের উপসর্গ জ্বর সঙ্গে মাথাব্যথা। পিংলা ব্লক জুড়েই এভাবে বাড়ি-বাড়ি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জেলার ৯৭জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ৩৪জনই পিংলার বাসিন্দা। নীলাঞ্জনবাবুর কথায়, “আমাদের গ্রামগুলিতে ঘরে-ঘরে জ্বর। অধিকাংশের ডেঙ্গি। আমার ধারণা, মারও ডেঙ্গি হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা স্পষ্ট করে বলতে চাননি।” সবংয়ের ভেমুয়াতেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। এ দিনও জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা ভেমুয়ায় ছুটে যান। জেলার মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে তবেই মশার আঁতুরঘর ধ্বংস হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy