কারখানায় ঢুকে এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পিছনে মহিলা ঘটিত সম্পর্কের টানাপড়েন অথবা সম্পত্তিগত সমস্যা থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাকে না ধরা পর্যন্ত রহস্য পুরোপুরি কাটছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কার্তিক সাট। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ চন্দ্রকোনার বওড়া এলাকার ব্যবসায়ী সৌমিত্র রানা নিজের কারখানাতেই গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে প্রথমে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ার স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে শনিবার রাতেই তাঁকে এসএসকেএমে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। শনিবার রাতেই সৌমিত্র পুলিশের কাছে দাবি করেন, বর্ষা রানা নামে তাঁর এক আত্মীয়ই গুলি চালিয়েছে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, মূল অভিযুক্ত বর্ষা সম্পর্কে সৌমিত্রের স্ত্রী সোনালির জামাইবাবু হন। শনিবার সকালে বর্ষা সৌমিত্রকে ফোন করে তিনি কখন ফাঁকা থাকবেন সেটা জানতে চেয়েছিলেন। সৌমিত্রের স্ত্রী সোনালি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে জামাইবাবু কারখানার গেটে আসে। তখনই সৌমিত্র আমায় ফোন করে গেট খুলবে কি না জানতে চায়। জামাইবাবু কী বলবে শোনার জন্য আমি ফোন কাটতে বারণ করেছিলাম। আচমকাই গুলির শব্দ শুনি। তারপর ফোন কেটে যায়।” সৌমিত্র ও সোনালির বিয়ে হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। তাঁদের একটি পাঁচ মাসের একটি মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে একটি গাড়ি ও দু’টি মোটরবাইক মিলিয়ে পাঁচ জন কারখানায় এসেছিল। তার মধ্যে গাড়িতে তিন জন ছিল। ধৃত কার্তিক তাদের সঙ্গেই ছিল। ক্ষীরপাই শহরের বাসিন্দা সাহিল নামে এক যুবকের নামও পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা সবাই বর্ষার বন্ধু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা শহরের মল্লেশ্বরপুরের যুবক বর্ষার ট্রাক্টরের ব্যবসা রয়েছে। তিনি এলাকায় বদমেজাজি বলেই পরিচিত। পড়শিদের সঙ্গেও তেমন সুসম্পর্ক নেই তাঁর। ইদানিং রাত করে বাড়ি ফিরতেন। তিনি তাঁর স্ত্রী কাকলিকে শুক্রবার রাতে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”